কলকাতা: এলিয়ট রোডে এক শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর (Mysterious Death) ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বাড়িতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। নাম ক্রিস্টোফার অ্যালেন। ৫৪ বছর বয়স। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা ঘিরে ইতিমধ্যেই রহস্য দানা বাঁধছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার এলিয়ট রোডে একটি বাড়িতে থাকতেন ক্রিস্টোফার। সদর স্ট্রিটের সেন্ট থমাস স্কুলের শিক্ষকতা করতেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় ১০০ নম্বরে ফোন যায় পার্ক স্ট্রিট থানায়। এরপরই পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন বাড়ির এক তলার ঘরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ক্রিস্টোফার। এরপরই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।
ইতিমধ্যেই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। থানার তরফে জানানো হয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা অবধি শিক্ষকের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা সম্ভব হয়। রিপোর্ট হাতে এলেই পুলিশ বুঝতে পারবে এই মৃত্যুর আসল কারণ কী। তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথম ওই শিক্ষককে ঘরের ভিতর অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরই কলকাতা পুলিশের ১০০ নম্বরে ডায়াল করে বিষয়টি জানান। তার পরই পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ইতিমধ্যেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এলাকায় যথেষ্ট সুখ্যাতিই ছিল শিক্ষকের। প্রতিবেশীদের অনেকে জানাচ্ছেন, গতকাল থেকে তাঁকে আর বেরোতে দেখেননি। পরে বিকেলের দিকে ছাত্ররা এসে দেখছে যে, তিনি নিচে পড়ে রয়েছেন। তারপর ছাত্ররাই থানায় খবর দেয়।
যে সময় তাঁর দেহটি উদ্ধার হয়েছে, সেই সময় তিনি নগ্ন অবস্থায় ছিলেন এবং তাঁর হাতে মোবাইল ফোনও পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করছিলেন এবং শেষ মুহূর্তে সেই অসুস্থতার কথা কাউকে ফোন করে জানাতে চাইছিলেন।
শুক্রবারই বেহালার সখের বাজারে ফুটপাথ থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই মহিলাও পঞ্চাশোর্ধ্ব। ৫২ বছর বয়সি ওই মহিলাকে এ দিন ফুটপাথের উপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। সকালে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপর ঠাকুরপুকুর থানায় তাঁরাই খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
প্রথমে এই ঘটনা ঘিরেও তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। কিন্তু ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসতেই ধীরে ধীরে রহস্যের পর্দা খুলতে থাকে। পোস্ট মর্টেমের প্রাথমিক রিপোর্টে দেখা যায় ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, ওই মহিলার বাড়ি হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ৩৯/৪ ভুবনমোহন রায় রোডে। মহিলা যেখানে থাকেন তার আশেপাশের বাড়ির লোকজনের বক্তব্য, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। বেহালা ঠাকুরপুকুর টালিগঞ্জ এলাকায় একা একা ঘুরে বেড়াতেন তিনি। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার তদন্তে নামে পুলিশ। যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা নিজে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন।
এরই মধ্যে শহরে আরও এক দেহ উদ্ধারের খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। পড়শি, বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবে তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: ‘বাবাও চলে গেল, আর ভাইও! এবার মাকে কীভাবে বাঁচাব…’ ভাইফোঁটার দিনই দিদির বুক থেকে ভাইকে কাড়ল বাস