কলকাতা: তীব্র আতঙ্ক উত্তরবঙ্গে। প্রবল বর্ষণে ফুঁসছে তিস্তা তিস্তা। হড়পা বানের জেরে সিকিমে আবার চুংথাংয়ের লোনার লেকের প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে। জলে ভাসেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেসে গিয়েছেন ২৩ জন সেনা জওয়ান। কোমর বেঁধে উদ্ধার কাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। চিন্তা বেড়েছে নবান্নের। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। দেওয়া হয়েছে ০৩৩ ২২১৪৩৫২৬/ ১০৭০ দুটি নম্বর। পাশাপাশি পর্যটন দফতরের তরফেও দুটি আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ১৮০০-২১২- ১৬৫৫/ ৯০৫১৮৮৮১৭১ নম্বর দুটি ফোন করেও উত্তরবঙ্গে যে সমস্ত পর্যটক আটকে পড়েছেন তাঁদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে পারবেন প্রিয়জনেরা।
উত্তরের অবস্থা দেখে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বলেন, রাত তিনটার সময় খবর পাই সিকিমে একটা ক্লাউড ব্রাস্ট হয়েছে। সেই জলটা তিস্তা নদীতে এসে পড়ে এবং ভয়াবহ অবস্থা। কালিম্পং প্রায় ডিসকানেক্টেড। বাংলার পাশাপাশি সিকিমের অবস্থা নিয়েও উগ্বিগ্ন মমতা। বলেন, সিকিমের মুখ্য সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে আমাদের মুখ্য সচিবের। মানুষকে রেসকিউ করা শুরু হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজ মেরামতির কাজ শুরু হবে জল কমার পর। দার্জিলিং কোচবিহার কালিম্পং জলপাইগুড়ি এফেক্টেড।আমরা আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৪ ঘণ্টায় গোটা সিকিমে লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। একইসঙ্গে বুধবার গোটা উত্তরবঙ্গে জারি লাল সতর্কতা। বৃহস্পতিবারও উত্তরের ৩ জেলায় লাল সতর্কতা জারি থাকছে। ৫ জেলায় কমলা সতর্কতা। একদিনে ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তাতেই আরও বাড়ছে ভয়। ২ জেলায় রয়েছে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।