
কলকাতা: রবির সকালে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটে গিয়েছে বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দায়। দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়ির উপর উঠে য়ায় আরও একটি মালগাড়ি। দুটি গাড়ির ১২ কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে বলে খবর। চালকের ভুলেই এ ঘটনা হয়েছে বলে মনে করছেন আদ্রা ডিভিশন ডিআরএম মনীশ কুমার। এদিকে দুর্ঘটনার খবর শোনা মাত্রই ওই এলাকায় ছুটে যান রেলের সিনিয়ার ডিভিশনাল সেফটি অফিসার দিবাকর মাঝি। কোনও একটা সমস্যার জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মত প্রকাশ করেন। তবে ঠিক কী হয়েছে তার জন্য তদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হবে বলে সংবাদমাধ্যমে জানান তিনি। এর থেকে বেশি কিছুই বলতে চাননি।
তিনি ছাড়াও দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যান দক্ষিণ পুর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম মনীশ কুমার। তিনি মনে করছেন লুপ লাইনে একটি মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। লাইনে সিগন্যালও লাল ছিল। এদিকে তখন ওই লাইনে বাঁকুড়া থেকে বিষ্ণুপুুরের দিকে আসছিল আরও একটি মালগাড়ি। কিন্তু, সিগন্যাল যে লাল হয়ে রয়েছে তা লক্ষ্য করেননি চালক। তার ফলেই ঘটেছে দুর্ঘটনা। রেলের কর্তারা মনে করেছেন চালক ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। সে কারণেই এমনটা হয়ে থাকতে পারে। ঘটনায় বিষ্ণুপুরগামী রেলের চালক আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে এই দুর্ঘটনার জেরে ওই শাখায় বহু একাধিক ট্রেনের চাকা থমকে গিয়েছে। বাতিল হয়ে গিয়েছে পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস। একইসঙ্গে পোরবন্দর-সাঁতরাগাছি এক্সপ্রেসকে পুরুলিয়া স্টেশন থেকে টাটানগরের দিক থেকে ঘুরপথে চালানো হচ্ছে বলে খবর। তবে বাতিল ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাতিল ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে পুরুলিয়া হাওড়া পুরুলিয়া সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস, আসানসোল দীঘা এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি পুরুলিয়া রুপসী বাংলা এক্সপ্রেস, খড়গপুর হাটিয়া এক্সপ্রেস, গোমো খড়গপুর এক্সপ্রেস, হাওড়া রাঁচি এক্সপ্রেস, আদ্রা খড়গপুর, বিষ্ণুপুর আদ্রা, বিষ্ণুপুর ধানবাদ, খড়গপুর আসানসোল, আদ্রা আসানসোল, আসানসোল টাটা মেমু প্যাসেঞ্জার। এদিকে দুর্ঘটনার খবরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ওই এলাকায়। অকুস্থলে বাড়ছে ভিড়। ভিড় নিয়ন্ত্রণে ছুটে এসে পুলিশ।