
কলকাতা: দু’মাস আগেও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত চলছিল। সেই সময় বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে নোটাম জারি হয়। তবে নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছিল এই নির্দেশিকার বাইরে। কিন্তু অত্যন্ত কড়া প্রহরা ছিল গোটা বিমানবন্দর জুড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি খানিক শান্ত। কিন্তু তারপরও কলকাতা বিমানবন্দরে নামল আধা সেনা, রাজ্য পুলিশ গোয়েন্দারা। কেন? হঠাৎ কী হল সেখানে?
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শনিবার রাতে একটি মহড়া হয়। কোনও রকম নাশকতা হলে ও বিমান ছিনতাই হলে কীভাবে তা প্রতিহত করা হবে সেই নিয়েই মহড়া হয়। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড-এর নেতৃত্বে এই মহড়ায় অংশ নেয় এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, CISF, ATC, রাজ্য পুলিশ, আইবি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং কলকাতা বিমানবন্দরে যেসব বিমান সংস্থাগুলি রয়েছে তারা।
A320 একটি বিমানে ৭৫ জন ‘ডামি’ যাত্রীকে বসানো হয়। তারপর ছিনতাইয়ের অনুশীলন শুরু হয় রাত ৯টা ৩৪ মিনিটে। NSG টাস্ক ফোর্সের অভিযানে যাত্রীদের উদ্ধার করার পাশাপাশি ও ছিনতাইকারীদের মারা হয়।
একই সঙ্গে, AAI-র দফতরে সন্ত্রাসী হামলারও অনুশীলন হয়। যেখানে ১২ জন কর্মচারিকে ডামি হিসাবে বসানো হয়। STF ও পরে NSG সফলভাবে অভিযান চালায়।