
পটনা: তিনি বিজেপির চাণক্য হিসেবে পরিচিত। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে এনডিএ সরকার গঠনের পর তাঁর ভূমিকা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছিল। আর ১১ বছর পর বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-র বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের সরকারে ফিরে আসার ক্ষেত্রে অমিত শাহর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে ঘন ঘন বিহারে আসতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এমনকি, নির্বাচনী প্রচারের শেষদিনও বিহারে ছিলেন। শুধু প্রচার নয়, এনডিএ-র ভাল ফলের জন্য ৭টি প্ল্যানিংও নিয়েছিলেন শাহ। সেই প্ল্য়ানিংয়ের মধ্যে কী কী ছিল?
শাহের মাস্টার প্ল্যানের মধ্যে প্রথমেই ছিল এনডিএ-র সব শরিককে ভোটের আগে একজোট করা। দ্বিতীয় প্ল্যানিং ছিল, নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ) ও চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি-র মধ্যে ভোট ময়দানে সমন্বয় সাধন করা। যাতে ভোটের আগে শরিকরা বিবাদে জড়িয়ে না পড়ে। তৃতীয় প্ল্যানিং ছিল, এনডিএ-র ভোট এককাট্টা রাখতে মাইক্রো প্ল্যানিং। জেলা থেকে মণ্ডল স্তরের নেতাদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছেন তিনি। শাহের ৪ নম্বর প্ল্যানিং ছিল, বিহারে বারবার জনসভা ও বৈঠক। যেকোনও নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলের তৃণমূল স্তরের নেতা-কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শাহের ৫ নম্বর প্ল্যানিং ছিল, তৃণমূল স্তরের কর্মীদের লাগাতার ভোকাল টনিক দেওয়া। শাহের ৬ নম্বর প্ল্যানিং ছিল, মণ্ডল স্তরের নেতাদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করা। বিহারে দলের অন্দরেই একাধিক নেতা সরব হয়েছিলেন। ভোটের তার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা ছিল। শাহের ৭ নম্বর প্ল্যানিংয়ে ছিল, এই সব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা। শতাধিক ‘বিদ্রোহী’ নেতার সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন বলে জানা গিয়েছে।
বিহারে এই বিপুল আসনে জয়ের জন্য অবশ্য নিজেকে কৃতিত্ব দিতে চাইলেন না অমিত শাহ। এদিন ফল ঘোষণার পর এক্স হ্যান্ডলে বিহারের ভোটারদের কথা বললেন তিনি। জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে কৃতিত্ব দিলেন। এক্স হ্যান্ডলে শাহ লেখেন, “বিকশিত ভারতে বিশ্বাস রাখা সমস্ত বিহারবাসীর জয় এটা। জঙ্গলরাজ ও তোষণের রাজনীতি করা ব্যক্তিরা যে বেশেই আসুক না কেন, তারা লুটের সুযোগ পাবে না।” এরপরই তিনি লেখেন, “গত ১১ বছরে মোদীজি বিহারের জন্য কাজ করেছেন। আর নীতীশজি বিহারকে জঙ্গলরাজের অন্ধকার থেকে বের করে আনার কাজ করেছেন।”