কলকাতা: নন্দীগ্রামের এক অনুষ্ঠান থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘আমার সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখুন। আমি অনেক কিছু সামনে আনব। সব আমার কাছে আছে।’ সেই সভা থেকে বেরোনোর কিছু পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা। মোট পাঁচটি পয়েন্ট তুলে ধরেন তিনি। প্রতিটি দাবিই সাংঘাতিক।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, বিভিন্ন সূত্র থেকে তিনি যে তথ্য পেয়েছেন তাতে সিবিআই তদন্তে বিষয়গুলি যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। শুভেন্দু লেখেন, ‘কলকাতা পুলিশ তদন্তের নামে তিলোত্তমার ভিসেরা পরিবর্তন করেছে। যেখানে এই অপরাধ ঘটেছে, সেখানে বেশ কিছু জনের যুক্ত থাকার বিষয় উড়িয়ে দেওয়া যায় না। রক্তাক্ত কিছু জিনিস পরিবর্তন করা হয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সেগুলো নিশ্চিত করা যায়।’
শুভেন্দু অধিকারী এমনও দাবি করেছেন, ঘটনাস্থলের ওয়াশ বেসিন বদলে ফেলা হয়েছে। নতুন বেসিন লাগানো হয়েছে সেখানে। শুভেন্দু আরও একটি বক্তব্য তুলে ধরেছেন তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে। লিখেছেন, ‘অন্য জায়গায় নারকীয় ঘটনা ঘটার পর সেমিনার হলে সেই দেহ নিয়ে আসা হয়।’
The following information that I have gathered from my various reliable sources might be germane for the purpose of Investigation undertaken by the @CBIHeadquarters:-
1. The viscera of the deceased victim Doctor has been changed by the @KolkataPolice in the name of…
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) August 17, 2024
যদিও বারবারই কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল জানান, সবরকম স্বচ্ছতা মেনেই তদন্ত এগোচ্ছে। এই ঘটনা নিয়ে প্রথম সাংবাদিক বৈঠকের পরই তিনি বলেছিলেন, “৯ অগস্ট সাড়ে ১০টা নাগাদ টালা থানায় খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এবং হোমিসাইড পৌঁছয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সাক্ষী এবং বাবা মায়ের উপস্থিতিতে ইনকুয়েস্ট করা হয়। তারপর ময়না তদন্ত করা হয়, ভিডিয়োগ্রাফি করা করা হয়েছে।” পরে হাইকোর্ট সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার পর নগরপাল এও বলেন, “আমাদের কাছে যা যা তথ্য ছিল, তা সবই সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। আমাদের অফিসাররাও নতুন তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করছে।”