কলকাতা: এর আগে যে ঝামেলা পোহাতে হয়েছে, তার আর পুনরাবৃত্তি চাইছে না তৃণমূল। সদ্য অনুষ্ঠিত উপভোটে জয়ী চার জনপ্রতিনিধির শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য প্রথা মেনে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে বিধানসভার তরফে। সোমবারই রাজভবনে বিধানসভার তরফে সেই চিঠি পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বরাহনগর ও ভগবানগোলার দুই জয়ী প্রার্থীর শপথ ঘিরে টানাপোড়েন হয় সরকার ও রাজভবনের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত রাজ্যপালের নির্দেশ মানতে অস্বীকার করেন ডেপুটি স্পিকার। স্পিকারই বিধানসভার রুল অনুসারে দুই প্রার্থীকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
ফের শপথবাক্য পাঠ করানো হবে উপনির্বাচনে জেতা শাসকদলের চার বিধায়ককে। বাগদার মধুপর্ণা ঠাকুর, রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী, রানাঘাট দক্ষিণের মুকুটমণি অধিকারী ও মানিকতলার সুপ্তি পাণ্ডে। নবনির্বাচিত এই চার বিধায়ক এবার শপথবাক্য পাঠ করবেন। চার জয়ী প্রার্থীর শপথ বাক্য পাঠ করাতে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছেল এবার।
গত ৪ জুন ভগবানগোলা ও বরাহনগর বিধানসভার উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। দুই কেন্দ্রের জয়ী বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ নিয়ে এরপর থেকে তৈরি হয় জটিলতা। কে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন, তা নিয়ে টানাপোড়েনেই প্রায় এক মাস কেটে যায়। বিধানসভায় ধরনায় পর্যন্ত বসেন সায়ন্তিকারা। অবশেষে গত ৫ জুলাই শপথ নেন তাঁরা।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেছিলেন শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য। যদিও ডেপুটি স্পিকার স্পষ্ট বলেন, স্পিকার থাকতে তিনি এটা করতে পারেন না। এটা ধৃষ্টতা, অসৌজন্যের প্রকাশ হবে। পরে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই দু’জনকে শপথ বাক্য পাঠ করান।