কলকাতা: পুলিশের পাশাপাশি শুরু থেকেই তদন্ত করছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। অবশেষে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম রিপোর্ট জমা করল যাদবপুরের (Jadavpur University) এই তদন্ত কমিটি। তাতেই শেষ পর্যন্ত ব়্যাগিংয়ের তত্ত্বে সিলমোহর তদন্তকারীদের। সাফ জানানো হয়েছে, ৯ অগস্ট রাতে ব়্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের ওই পড়ুয়া। সূত্রের খবর, রিপোর্টে এও জানানো হয়েছে ঘটনার আগে বেশ কিছুটা চাপে ছিলেন ওই পড়ুয়া।
সূত্রের খবর, এর আগেও মেইন হস্টেলে একাধিক ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ সামনে এসেছে বলে উল্লেখ রয়েছে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে। এই সমস্ত অভিযোগগুলিতে কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক ব্যর্থতাও তদন্ত কমিটি খুঁজে পেয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ১০০-রও বেশি জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে কমিটি। আগামী সপ্তাহে জমা পড়তে চলেছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট।
প্রসঙ্গত, যাদবপুরকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়া মিলিয়ে যাদবপুরের ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে হস্টেলের অন্য আবাসিকদের। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিগত দু’সপ্তাহ ধরেই উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার নেপথ্যে মার্ক্সবাদীদের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতেই মরতে হয়েছ ওই ছাত্রকে। এদিকে এখনও পর্যন্ত যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই WTI, FAS এর মতো বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অভ্যন্তরে কাজ করা ‘স্বাধীন’ ছাত্র সংগঠনের কর্মী বলে খবর।