Dilip Ghosh: ‘এটা একটা বড় শিক্ষা’, সৃঞ্জয়ের মৃত্যুতে নেশা নিয়ে ‘বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ’ দিলীপের

Dilip Ghosh: রিঙ্কু মজুমদার বলছেন, এক বছর আগে থেকেই নিউরোর সমস্যা ছিল সৃঞ্জয়ের। ওষুধও চলছিল। কিন্তু, সম্প্রতি দৈনন্দিন জীবনে একটু ছন্দ হারিয়ে ফেলছিলেন সৃঞ্জয়। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছিলেন না। ওষুধ খাচ্ছিলেন না টাইম করে।

Dilip Ghosh: ‘এটা একটা বড় শিক্ষা’, সৃঞ্জয়ের মৃত্যুতে নেশা নিয়ে ‘বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ’ দিলীপের
দিলীপ ঘোষ Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

May 14, 2025 | 11:02 AM

কলকাতা: ২৫ দিন আগে দিলীপ ঘোষকে বিয়ে করছেন রিঙ্কু মজুমদারের। কিন্তু, ঠিক ২৫ দিনের মাথায় উৎসবের রেশ কেটে গোটা পরিবারে বিষাদের ছায়া। মঙ্গলবার সাতসকালে নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে রিঙ্কু-পুত্র সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের দেহ। ২৭ বছরের তথ্য়-প্রযুক্তি কর্মীর মৃত্যুতে জোর চাপানউতোর নাগরিক মহল থেকে রাজনীতির পাড়ায়। শোকের ছায়া দিলীপ ঘোষের পরিবারেও। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রিঙ্কু মজুমদার। শোকাতুর দিলীপ ঘোষও। সাদা ফুলের মালা নিয়ে মঙ্গরবার বিকালে শ্মশানেও গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন, “দুর্ভাগ্য আমার পুত্র-সুখ হল না, পুত্র-শোক হল।” বুধবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখানে সৃঞ্জয় প্রসঙ্গ উঠতেই ফের শোনা গেল সেই আক্ষেপের সুর। 

রিঙ্কু মজুমদার বলছেন, এক বছর আগে থেকেই নিউরোর সমস্যা ছিল সৃঞ্জয়ের। ওষুধও চলছিল। কিন্তু, সম্প্রতি দৈনন্দিন জীবনে একটু ছন্দ হারিয়ে ফেলছিলেন সৃঞ্জয়। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছিলেন না। ওষুধ খাচ্ছিলেন না টাইম করে। এদিকে সোমবার রাতে সৃঞ্জয় নিউটাউনের যে ফ্ল্যাটে থাকতেন সেখানে পার্টি ছিল বলে খবর। অফিসের কয়েকজন কলিগও এসেছিলেন। দিলীপ ঘোষ বলছেন, “ড্রাগের সমস্যা ওর আগে থেকেই ছিল। ওর কাউন্সেলিং চলছিল। ওর অফিসের ডাক্তার দেখত।” এদিকে সৃঞ্জয়ের প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টও মৃত্যুর পিছনে শারীরিক সমস্যার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। দিলীপ ঘোষ বলছেন, “হঠাৎ করে কেন হল কি হল তা ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ রিপোর্ট পেলে বুঝতে পারব।” 

তবে সৃঞ্জয়ের দুরাবস্থা দেখে এদিন মর্নিং ওয়াকে এসে নেশার কুপ্রভাব নিয়েও বারবার সতর্ক করতে দেখা গেল তাঁকে। উদ্বেগের সঙ্গেই বললেন, “আজকের যুবসমাজের মধ্যে নেশার যে কি প্রভাব, তার এটা একটা নমুনা। ঠিক কি হয়েছিল বলার আগেই তো ছেলেটা শেষ হয়ে গেল। আমাদের সবার কাছে এটা একটা বড় শিক্ষা। আমাদের ছেলেমেয়েরা কোথায় যাচ্ছে কি করছে? তাকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করে দিলেই দায়িত্ব শেষ হয়না। তারপরেও এতবড় রিস্ক থেকে যায়। এটাই চিন্তার বিষয়।”