Tiljala Crime : ‘যৌন লালসার শিকার, পুলিশকে বিভ্রান্তি করতেই তান্ত্রিক তত্ত্ব’, তিলজলা শিশুকন্যা খুনে নয়া তথ্য পুলিশের হাতে
Tiljala Crime : ঘটনার পরেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তিলজলা, পার্ক সার্কাস, বন্ডেল রোড, পিক গার্ডেন এলাকা। কিছু সময়ের জন্য ওই এলকায় ট্রেন চলাচলও সম্পূর্ণভাবে স্তব্ধ হয়ে যায়।
কলকাতা : তিলজলা কাণ্ডে (Tiljala Minor Death) নয়া মোড়। অভিযুক্ত যে তান্ত্রিকের কথা বারবার তদন্তকারী অফিসারকে বলছিলেন তা পুরোপুরি অবাস্তব বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ওই নাবালিকা অভিযুক্তের বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়েছেন। এমনটাই ধারণা তদন্তকারীদের। কিন্তু, এতদিন বারবার তান্ত্রিক তত্ত্ব দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিল বলে পুলিশের (Police) ধারণা। যদিও পুলিশ জানাচ্ছে, এখনও প্রচুর অসঙ্গতি অভিযুক্তের কথায়। এদিকে এ ঘটনায় শুরু থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, গত শনিবার সকাল থেকে শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। থানায় সে খবরটি জানানোও হয়েছিল। তবুও পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করতে ঢিলেমি করেছে।
অবশেষে তিলজলা থানার পুলিশের তল্লাশি অভিযানে হাত, পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয় ৮ বছরের নাবালিকার (Minor Girl) দেহ। নাবালিকার প্রতিবেশীর অলোক কুমারের ঘরের ভিতর রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের পাশ থেকেই উদ্ধার হয় তার দেহ। প্রসঙ্গত, তিলজলা থানা এলাকার ২১ নম্বর শ্রীধর রায় রোডে একটি বিল্ডিংয়ের ফ্ল্যাটে মা, বাবা, ভাইয়ের সঙ্গে থাকত ৪ বছরের নাবালিকাটি। তাঁরা আদতে বিহারের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন সকালে ময়লা ফেলতে রাস্তায় বেরিয়েছিল নাবালিকাটি। তারপর তার আর হদিশ মেলেনি। বহু খোঁজাখুঁজির পরেও নাবালিকার কোনও খোঁজ মেলেনি। এরপর নাবালিকাটির পরিবার তিলজলা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে।
এদিকে এ ঘটনার পরেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তিলজলা, পার্ক সার্কাস, বন্ডেল রোড, পিক গার্ডেন এলাকা। কিছু সময়ের জন্য ওই এলকায় ট্রেন চলাচলও সম্পূর্ণভাবে স্তব্ধ হয়ে যায়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িতেও। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে বহু প্রতিবাদীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জল গড়িয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনেও। যদিও খোদ জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগোও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। অভিযোগ, মৃত শিশুর বাবা-মায়ের সঙ্গে তাঁদের একান্তে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। একইসঙ্গে থানার মধ্যে তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।