বিক্ষোভের ‘ফল’ পাশ! মুচলেকা দিয়ে শংসাপত্র নিলেন ছাত্রীরা

HS: বিক্ষোভের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের দেওয়া মুচলেকায় স্বাক্ষর করছেন পড়ুয়ারা। সেখানে লেখা রয়েছে, "বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও দোষ না থাকা সত্ত্বেও সাময়িক উত্তেজনার বশে আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের বেশ কিছু মূল্যবান সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করেছি। এর জন্য আমরা অত্যন্ত লজ্জিত এবং অনুতপ্ত।''

বিক্ষোভের 'ফল' পাশ! মুচলেকা দিয়ে শংসাপত্র নিলেন ছাত্রীরা
চিত্র: দীপঙ্কর জানা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 27, 2021 | 7:38 PM

কলকাতা: খুব কম নম্বর। বেশিরভাগই ফেল করেছেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়। এই অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার থেকে স্কুলে স্কুলে চলছে রেজাল্ট নিয়ে না-খুশ পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। তবে এর দায় সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদেরই! ছাত্রছাত্রীদের জোর করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে দিয়ে মুচলেকায় সাক্ষর করে নিচ্ছে সংসদ। এমনই অভিযোগ উঠল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বিরুদ্ধে।

তিলজলা বালিকা বিদ্যালয়। এখানে ৭১ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। অনুর্ত্তীর্ণরা গত ২৩ জুলাই স্কুলে বিক্ষোভ দেখান। প্রধান শিক্ষকের ঘরের জানলা ভাঙা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অশান্তির সৃষ্টি হয়। ছাত্রীদের সঙ্গে তাঁদের অভিভাবকরাও শামিল হন বিক্ষোভে। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ, তিনি সংসদে ফোন করা সত্ত্বেও কেউ ফোন ধরেনি। এখন সেই স্কুলের সবাই পাশ করেছেন। তবে নতুন মার্কশিট নিতে গিয়ে মুচলেকায় সাক্ষর করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের!

বিক্ষোভের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের দেওয়া মুচলেকায় স্বাক্ষর করছেন পড়ুয়ারা। সেখানে লেখা রয়েছে, “বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও দোষ না থাকা সত্ত্বেও সাময়িক উত্তেজনার বশে আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের বেশ কিছু মূল্যবান সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করেছি। এর জন্য আমরা অত্যন্ত লজ্জিত এবং অনুতপ্ত।” সেই মুচলেকার শেষে ছাত্রীর নাম পরিচয় লিখে দিতে হচ্ছে। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

এদিকে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মুচলেকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংসদ। তাতে লেখা, ফল বিভ্রাটের দায় স্কুলের। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। ভুল স্কুলের লিখে দিতে হবে। যা নিয়ে আজ স্মারকলিপি জমা দেয় প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন।

তিলজলার ওই অনুর্ত্তীর্ণদের প্রত্যেককে পাশ করিয়ে দেওয়া হলেও তাদের নম্বর খুব কম এসেছে। তাঁদের অভিযোগ, পরীক্ষা দিলে এর চেয়ে অনেক বেশি নম্বর তাঁরা পেতেন। এই নম্বর তাঁদের উচ্চশিক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, কয়েকজন পড়ুয়ার দাবি, তাঁদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোর করে মুচলেকায় সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: ‘আমরা ছেড়ে দেব না’, মোর্চা নেতার মৃত্যুতে রাজ্যকে দুষে পালটা হুঁশিয়ারি শমীকের