‘আমরা ছেড়ে দেব না’, মোর্চা নেতার মৃত্যুতে রাজ্যকে দুষে পালটা হুঁশিয়ারি শমীকের

গেরুয়া শিবিরের আক্ষেপ, রাজুকে যদি সময় মতো হাসপাতালে ভর্তি করা যেত, তবে সে বেঁচে থাকত।

'আমরা ছেড়ে দেব না', মোর্চা নেতার মৃত্যুতে রাজ্যকে দুষে পালটা হুঁশিয়ারি শমীকের
শমীক ভট্টাচার্য, নিজস্ব চিত্র। মৃত রাজু সরকার (ডানদিকে), ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 27, 2021 | 7:04 PM

কলকাতা: যুব মোর্চার বৈঠকে কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি। আর সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় পরবর্তী সময় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সোমবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বিজেপি নেতা রাজু সরকারের। তবে এই মৃত্যু নিয়েও এ বার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই তোপ দাগল বঙ্গ বিজেপি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ‘উদাসীনতার’ কারণেই ওই যুব নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। সঙ্গে তাঁর আরও হুঁশিয়ারি, “আমরা ছেড়ে দেব না।”

বিজেপি সূত্রে দাবি, সোমবার সন্ধ্যায় যখন অসুস্থ রাজু সরকারকে প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই সময় আইসিইউ-তে বেড খালি ছিল না। যে কারণে তাঁকে সেখানে ভর্তি নেওয়া যায়নি। এরপরই অসুস্থ রাজুকে নিয়ে বাইপাসের ধারে অ্যাপেলো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনর আগে মাঝ রাস্তাতেই মৃত্যু হয় রাজুর। গেরুয়া শিবিরের আক্ষেপ, রাজুকে যদি সময় মতো হাসপাতালে ভর্তি করা যেত, তবে সে বেঁচে থাকত। এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভর্তি না নেওয়ার কারণে এই মৃত্যুর জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছে বিজেপি।

শমীকের কথায়, “রাজু সরকারের মৃত্যুর জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। একজন গুরুতর অসুস্থ রোগীকে কীভাবে হাসপাতাল ছেড়ে দিল? এত বড় হাসপাতালের এ কী আচরণ? বলল, অন্য কোথায় আইসিইউতে ভর্তি করুন। এসএসকেএমে ন্যূনতম লাইভ সাপোর্ট পেল না রাজু। আঙুল উঠলে উঠবে হাসপাতালের দিকে। হাসপাতালের উদাসীনতার জন্যই রাজুর মৃত্যু হয়েছে। আমরাও ছেড়ে দেব না।” বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আগামী সময়ে বড় পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে বিজেপি।

অন্যদিকে, রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি সাক্ষাৎ নিয়েও এ দিন মুখ খুলেছেন শমীকবাবু। মমতা এই বৈঠকে পর জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভ্যাকসিন সরবরাহ বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছেন। শমীক বলেন, “ভ্যাকসিন চাওয়ার দাবি অমূলক নয়। কিন্তু যেভাবে এই দাবি করা হচ্ছে তাতে মানুষ বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে।” বিরোধীদের এক ছাতার তলায় এনে জোট গড়ার প্রয়াস নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, “যারা বিরোধিতা করতে নেমেছেন তারা আগে ঠিক করুক মুখ কে? ভারতের মানুষ জোট সরকার দেখেছে। সেখানে অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা দেখা গিয়েছে। তাই ২০২৪ সালেও মানুষের রায় মোদীর পক্ষেই থাকবে।” আরও পড়ুন: বৃষ্টিভেজা দিল্লিতে মোদী-মমতার ২৫ মিনিটের বৈঠক, দু’টি দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী