কলকাতা: তিলজলা থানায় গিয়ে গতকাল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগোকে হেনস্থার অভিযোগ তোলা হয়েছিল পুলিশের ওসির বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে তিলজলা থানার ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল। ঘটনার শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। অস্বস্তির মধ্যেই তিলজলা থানার ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায়কে এবার বদলির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। তাঁকে পাঠানো হচ্ছে কলকাতা পুলিশের ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে। তিলজলা থানার নতুন ওসি করা হয়েছে সুপ্রতিক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। গতকাল তিলজলা থানার ওসির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠে এসেছিল, তারপর তড়িঘড়ি এই বদলি স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, গতকাল তিলজলা থানায় গিয়েছিলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। সেখানে গিয়ে মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সময়, তা ক্যামেরায় রেকর্ড করা হচ্ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। আর সেই ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন। তিনি বাধা দিতে গেলে ৭-৮ জন লোক তাঁকে ঘিরে ফেলে বলে অভিযোগ। তিলজলা থানার ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্য়ায় তাঁকে মারধরও করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। ওই ঘটনার পর ওসির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৫৩, ৩৪১, ৫০৬ ও ৩৪ নম্বর ধারায় বিশ্বক মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গতরাতেই প্রিয়ঙ্ক কানুনগোর সঙ্গে দেখা করতে হোটেলে গিয়েছিলেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। জানা যাচ্ছে, সেই সময়েই অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার পর এবার তাঁর বদলি করা হল তিলজলা থানার ওসিকে। তিলজলা থানা থেকে তাঁকে পাঠানো হল কলকাতা পুলিশের ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে।