TMC Behala Clash: বেহালায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, রাতভর তাণ্ডব, দল থেকে বহিষ্কৃত যুব সভাপতি বাপন

TMC Behala Clash: মঙ্গলবার রাতের তাণ্ডবের পর দেড় দিন কেটে গেলেও বাপনের কোনও খোঁজ নেই। এখনও তাঁর নাগাল পায়নি পুলিশ।

TMC Behala Clash: বেহালায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, রাতভর তাণ্ডব, দল থেকে বহিষ্কৃত যুব সভাপতি বাপন
বহিষ্কার করা হল বাপনকে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 14, 2022 | 2:06 PM

কলকাতা : মঙ্গলবার রাতভর বেহালার চড়কতলায় যে তাণ্ডব চলেছে, তাতে অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা বাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর তাঁকে এলাকায় দেখা গেলেও, পরে তিনি কার্যত বেপাত্তা হয়ে যান। এখনও পর্যন্ত পুলিশ তাঁর নাগাল পায়নি। তবে, এবার তৃণমূলের যুব সভাপতি বাপনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল দল। বৃহস্পতিবার তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশের সামনেই বোমা ও গুলি চলে এলাকায়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই সংঘর্ষ বলে সূত্রের খবর। আর সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসল ঘাসফুল শিবির। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় বাপনের যুক্ত থাকার বিষয়টি এলাকার মানুষের কাছে নতুন নয়। অনেক দিন ধরেই চলছিল গণ্ডগোল। তবে বোমা-গুলি চলায় বিষয়টা প্রকাশ্যে এসে যায়।

বেহালা পূর্বের ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব সভাপতি ছিলেন এই বাপন। তাঁর সঙ্গে লালটু নামে এক তৃণমূল নেতার দ্বন্দ্বের কথা শোনা যাচ্ছে এলাকার মানুষের কাছ থেকে। এলাকায় কার দখল থাকবে, কে কোন এলাকা থেকে তোলা তুলবে, তা নিয়েই দিনের পর দিন দ্বন্দ্ব বাড়ছিল বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতেই সেটাই চরমে পৌঁছয়। দুই পক্ষের মধ্যে সেই রাতে ইট ছোড়াছুড়ি তো চলেই, রাত বাড়লে শোনা যায় গুলির শব্দ। শুধু তাই নয়, এলাকায় বাড়িঘর, দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়।

ঘটনার পরই একটি অডিয়ো ভাইরাল হয়, যেটিতে বাপনের গলার স্বর শোনা যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। আর সেখানে তাঁকে স্পষ্ট বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘১২১ নম্বর থেকে ১০ দিনে ২০ লক্ষ তুলেছি। ওরা ২ টাকা তুলুক না।’ সুতরাং তোলাবাজি আর সেই তোলার ভাগ নিয়ে যে সমস্যা ছিল, তা স্পষ্ট।

মঙ্গলবারের ঘটনার পরের দিন তাঁকে এলাকায় দেখা গিয়েছিল, তবে আপাতত তিনি বেপাত্তা। এলাকায় দেখা যাওয়া সত্ত্বেও কেন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁর বাড়িতে গিয়েও তাঁকে পায়নি পুলিশ। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে উপস্থিত হন বাপনের পরিবারের সদস্যরা। বাপন নির্দোষ বলে দাবি করেন তাঁরা। তবে, রত্না চট্টোপাধ্যায় জানান, বাপনকে আত্মসমর্পণ করতেই হবে। পরে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তৃণমূল বাপনের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখতে চাইছে না বলেই সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন : Dilip Ghohs On Hanskhali Case: ‘পেটে চর্বি জমেছে, দানাপানি মিলবে না…’, হাঁসখালি ইস্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ