
কলকাতা: পুজোর ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে দুটো ক্লাবের সংঘর্ষ। লেক গার্ডেন্সে ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগে দুই ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে তুলকালামকাণ্ড। দক্ষিণ লেকপল্লি সংহতি ক্লাব ও প্রগতি সঙ্ঘের সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। দক্ষিণ লেকপল্লির ক্লাবের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। পাল্টা একই অভিযোগ করছেন প্রগতি সঙ্ঘ ক্লাবের সদস্যরাও।
দুটি পুজোরই দায়িত্বে এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। রবিবার দুপুরে দক্ষিণ লেকপল্লি ক্লাবের সদস্যরা এলাকায় পুজোর ব্যানার লাগাচ্ছিলেন। অভিযোগ, প্রগতি সঙ্ঘের সদস্যরা হঠাৎই তাঁদের ওপর চড়াও হন। তাঁদের মারধর করেন, এমনকি পুজোর ব্যানারও ছিড়ে দেন। যদিও প্রগতি সঙ্ঘের সদস্যদের দাবি, আগে দক্ষিণ লেকপল্লির বাসিন্দারাই তাঁদের ব্যানার ছিঁড়ে দিয়েছিলেন।
দক্ষিণ লেকপল্লি ক্লাবের সদস্যরা অভিযোগ তুলছেন ৯৩ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী দাসের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, এর পিছনে মৌসুমী দাসের উস্কানি রয়েছে। লেকপল্লি সংহতি ক্লাবের বর্তমান সভাপতি ৯৩ ওয়ার্ডেরই প্রাক্তন কাউন্সিলর রতন দে। বর্তমান ও প্রাক্তনের মধ্যে ঝামেলার প্রভাব বলে অভিযোগ।
যদিও প্রগতি সঙ্ঘের এক সদস্য বলেন, “ওরা ভুলভাল অভিযোগ করছেন। আর আমাদের কাউন্সিলর কখনই চান না, যে ওয়ার্ডের মধ্যে কোনও ঝামেলা হোক। উনি এর মধ্যে নেই। কাউন্সিলরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। আর যুব নেতাই এই নোংরা রাজনীতি করছেন। এখানে দুটো ক্লাবের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। সেক্রেটারি চেয়েছিলেন, বিষয়টা মিটে যাক। ওরাই ভুল করে আমাদের জায়গায় ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও যুবনেতা বাবাই দিনের পর দিন উস্কানি দিয়েছে।”
এদিকে, সংহতি ক্লাবের সদস্য বলেন, “আমাদের বাঁধা স্ট্রাকচারের ওপর প্রগতি সঙ্ঘ একটা স্ট্রাকচার বেঁধে দেয়। তখন থানাতে জানাই। বিধায়ক দেবাশিস কুমার, থানার বড়বাবু বিষয়টা মিটে যায়। ব্যানার খুলে দেওয়া হয়। ওরা আজ ঝাঁপিয়ে পড়ে। মারধর করে।”