কলকাতা: বিপুল ব্যবধানে তৃতীয়বার জয়লাভ করে আসার পর প্রায় ২০ বছর বাদে দলীয় বিধায়কদের চাঁদা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, ২০০১ সাল থেকে তৃণমূল বিধায়করা দলের তহবিলে মাসে ১০০০ টাকা করে দিতেন। ২১৩ আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফেরার পর সেই চাঁদার অঙ্ক একধাক্কায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। আগামী জুলাই মাস থেকে ঘাসফুলের তহবিলে মাসে ২০০০ টাকা করে দেবেন তৃণমূল বিধায়কেরা। তাঁদের সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই সেই টাকা কেটে নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
২০১১ এবং ২০১৬, পরপর দু’বার ভোটে জিতে আসার পরও দলীয় তহবিলে দেওয়া এই চাঁদার অঙ্ক বাড়ায়নি তৃণমূল। ২০০১ থেকে বিধায়কদের মাথাপিছু মাসিক চাঁদা হাজার টাকাই থেকেছে। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। দলকেও জাতীয় স্তরে নিয়ে যাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ফলে খরচও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দলের তরফে চাঁদার টাকা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে তৃণমূলের ঘরে রয়েছেন ২১২ জন বিধায়ক (শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফার পর)। তাঁদের মধ্যে ১৬৫ জনেরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ফলে প্রতি মাসে টাকা কেটে নিতে কোনও সমস্যা হবে না। বাকি কয়েকজনের অ্যাকাউন্ট তৈরি বাকি রয়েছে। সেগুলোও শীঘ্রই হয়ে যাবে বলে খবর।
আরও পড়ুন: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের চিঠি নিয়ে বিধানসভায় গিয়ে বিফল মনোরথ শুভেন্দু
বর্তমানে বেতন-সহ সবরকম ভাতা মিলিয়ে মোট ৮২ হাজার টাকা পান রাজ্যের বিধায়করা। সেই বেতন ব্যাঙ্কে জমা পড়লেই এখন থেকে মাসে ২০০০ টাকা কেটে নেওয়া হবে। তৃণমূল সূত্র জানাচ্ছে, তৃণমূলের টিকিটে জিতে আসা নতুন বিধায়কের সংখ্যা ৪৩। যাঁদের মধ্যে অনেকেই লকডাউন-সহ নানা কারণে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে উঠতে পারেননি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তহবিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্ব জানিয়েছেন, সেই জটও আগামী মাসের আগেই কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী ২ জুলাই থেকে শুরু হবে বিধানসভা অধিবেশন। তার আগে আর কোনও সমস্যা থাকবে না, আশাবাদী ঘাসফুল শিবির।
আরও পড়ুন: টুইটার-বিতর্কে কেন্দ্রকে তোপ মমতার, ‘ফেডারাল ফ্রন্টের প্রধানমন্ত্রী’, পালটা কটাক্ষ বিজেপির