কলকাতা: কালীঘাটে বীরভূম জেলার নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। তৈরি হয় লোকসভা ভোটের আগের সাংগঠনিক নীল নকশা। কেষ্ট-হীন বীরভূমে কী হবে রণকৌশল, তা নিয়ে নতুন করে সাজানো হয়েছে কোর কমিটি। তৈরি হয়েছে ব্লু-প্রিন্ট। একইসঙ্গে দলের তরফে কেষ্টর পাশে থাকার বার্তাও এসেছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। অনুব্রতর পাশে থাকা নিয়ে দলের বার্তা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, ফিরহাদের স্পষ্ট দাবি, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপদের বন্ধু।’
অতীতে ফিরহাদ হাকিমকেও গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যেভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেকথাও আজ উঠে আসে ফিরহাদের গলায়। মন্ত্রী বললেন, ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধিতে আমাদের উপর আঘাত হচ্ছে। বিজেপির গভর্নমেন্ট মেশিনারি আমাদের উপর আঘাত হানছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী স্ট্রংলি নিজের ছেলেদের পাশে দাঁড়ান। আমি যখন অ্যারেস্ট হয়েছিলাম, সোজা সিবিআই অফিসে চলে গিয়েছিলেন। যাঁরা বিপদে পড়েছেন, তাঁদের পাশ থেকে সরে যাবেন, এটা ওনার ক্যারেক্টারেই নেই। বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিপদের বন্ধু।’
প্রসঙ্গত, ফিরহাদ হাকিম যে ঘটনার কথা বললেন, সেটি ২০২১ সালের। নারদা মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করেছিল ফিরহাদ হাকিমকে। সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছিলেন, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। সিবিআই-এর হাতে তাঁদের গ্রেফতারির পরপরই নিজাম প্যালেসে ছুটেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ের কথাই আজ আবারও মনে করিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম। বোঝালেন, কী কারণে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বিপদের বন্ধু’ বলে আখ্যা দিলেন।