কলকাতা: তৃণমূলের গোষ্ঠী রাজনীতির থেকে রেহাই নেই মা জগত্দ্ধাত্রীরও। বালিগঞ্জে জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে তৃণমূল বিধায়ক ও কাউন্সিলরের সংঘাত চরমে। ফার্ন রোডে কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীরা পুজো করছেন। পিছিয়ে নেই বাবুল সুপ্রিয়র শিবিরও। গড়িয়াহাটে ম্যাটাডোর সাজিয়ে ফার্ন রোডেই পুজোর আয়োজন। যা নিয়ে মঙ্গলবার পরের পর নাটকীয় মুহূর্তের সাক্ষী থাকল বালিগঞ্জ। দিকে দিকে গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার শাসক দল। তার মধ্যে খাস কলকাতার বুকে মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক বনাম কাউন্সিলরের লড়াই। বাবুল সুপ্রিয় বনাম সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়।
বিজয়া সম্মেলন থেকে ২ পক্ষের কোন্দল শুরু। জল গড়িয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজোতেও। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে যে পুজোর শুরু। সেই পুজো ঘিরে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর সংঘাত। পরের পর নাটক। বিস্তর জলঘোলার পর পুজোর আয়োজন করেছেন কাউন্সিলরের অনুগামীরা। পাল্টা পুজোর আয়োজন বিধায়ক শিবিরের।
গড়িয়াহাটে ম্যাটাডোর সাজিয়ে পুজোর আয়োজন। ফার্ন রোডেই থাকবে ভ্রাম্যমান মণ্ডপ। পুজোর উদ্বোধন করবেন বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। পুজো ঘিরে দড়ি টানাটানি। কোন্দল, বাকযুদ্ধ। তৃণমূলের গোষ্ঠী রাজনীতির থেকে রেহাই নেই মা জগত্দ্ধাত্রীরও।
ফিরহাদ হাকিমের বোন গীতা হাকিম বলেন, “ব্যাপারটা খুবই হাস্যকর। চলমান গাড়িতে কীভাবে যে পুজো হয়, সেটা আমি দেখিওনি, শুনিওনি। ভাসান হয়, সেটা জানি। কিন্তু চলমান ট্রাকের ওপর যে পুজো হয়, সেটা আমি দেখিনি। এটা প্রথম দেখছি। আশ্চর্যজনক ব্যাপার দেখছি।”
অন্যদিকে আবার বাবুল সুপ্রিয়র অনুগামী দেবরাজ ঘোষ বলেন, “পুজো নিয়ে আমরা কোনও রাজনীতি চাই না। পুজো মানুষের একটা সেন্টিমেন্ট। আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। সেই জায়গা থেকে কেউ রাজনীতি করতে পারেন, কিন্তু আমরা সেটা চাই না। পুজো ট্রাকে হবে, কিন্তু পুজো ফার্ন রোডেই হবে। ”
পুজো নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি। জারি বাগযুদ্ধ। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল থেকে রেহাই নেই জগদ্ধাত্রীরও। একদিকে শাসকদলের কাউন্সিলর অন্যদিকে, শাসকদলের বিধায়ক। পুজো নিয়ে কোন্দলের শেষ কোথায়, সেটাই দেখার।