Sandeshkhali: এই কারণেই সন্দেশখালি নন্দীগ্রাম নয়, ফারাক বুঝিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন কুণাল
Sandeshkhali: বিরোধীরা শাসক দলকে খোঁচা দিয়ে সন্দেশখালির জনরোষের সঙ্গে নন্দীগ্রামের গণঅভ্যুত্থানের তুলনা টানতে শুরু করেছে। যদিও তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। একইসঙ্গে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সঙ্গে সন্দেশখালির ফারাকও বোঝালেন কুণাল।
কলকাতা: সন্দেশখালি কেন নন্দীগ্রাম বা সিঙ্গুর নয়, এবার সেই ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূলের কুণাল ঘোষ। সম্প্রতি এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সন্দেশখালিতে। মারাত্মক মারাত্মক অভিযোগ উঠে আসছে। মুখ খুলতে শুরু করেছেন সন্দেশখালির মহিলারা। ভয় কাটিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন তাঁরা। লাঠি-সোটা হাতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এক তীব্র জনরোষের সাক্ষী থেকেছে সন্দেশখালি। পরিস্থিতি সামলাতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বিরোধীরা শাসক দলকে খোঁচা দিয়ে সন্দেশখালির জনরোষের সঙ্গে নন্দীগ্রামের গণঅভ্যুত্থানের তুলনা টানতে শুরু করেছে। যদিও তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। একইসঙ্গে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সঙ্গে সন্দেশখালির ফারাকও বোঝালেন কুণাল।
কুণালের ব্যাখ্যায়, নন্দীগ্রাম বা সিঙ্গুরে যে গণ আন্দোলন হয়েছিল, সেখানে অভিযোগ ছিল সরকারের বিরুদ্ধে। পুলিশের বিরুদ্ধে। কিন্তু সন্দেশখালিতে সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের কোনও অভিযোগ নেই বলেই দাবি কুণালের। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে বসে তৃণমূল মুখপাত্র বললেন, ‘সন্দেশখালি বলে যতটা রটনা হচ্ছে, ঘটনা ততটা নয়। বিকৃত ও অতিরঞ্জিত। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের সঙ্গে যাঁরা তুলনা করছেন, তাঁরা মনে রাখবেন সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে মানুষের অভিযোগ ছিল সরকারের বিরুদ্ধে, পুলিশের বিরুদ্ধে। সন্দেশখালিতে সরকারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।’
কেন সন্দেশখালির জনরোষকে নন্দীগ্রাম বা সিঙ্গুরের সঙ্গে তুলনায় আপত্তি, সে নিয়ে আরও যুক্তি রয়েছে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের। যেমন পুলিশের ভূমিকার কথাও এদিন তুলে ধরেন কুণাল। বললেন, ‘মানুষ লাঠি-সোটা নিয়ে বিক্ষোভ করছে। কিন্তু একটা ছবি দেখাতে পারবেন যে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস বা গুলি চালিয়েছে? এটা বাম জমানার ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ নয়।’ সন্দেশখালির আমজনতার অভিযোগ যে সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বরং ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে, আজ সাংবাদিক বৈঠকে সেটাই বোঝাতে চেষ্টা করলেন কুণাল। তৃণমূল মুখপাত্রের কথায়, ‘যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তা কোনও বিচ্ছিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এর সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক নেই। যদি কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, দল ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে।’