
কলকাতা: দিল্লির কৃষি ভবনে আন্দোলনের মধ্যে আটক করা হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhisekh Banerjee)। আটক করা হয়েছে দোলা সেন, শান্তনু সেন, মহুয়া মৈত্রদের। যা নিয়ে সন্ধ্যা থেকে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনা কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কুণাল ঘোষেরা। পাল্টা দোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও। সব মিলিয়ে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোরকদমে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপিকে এক হাত নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ওখানে একটা হিংস্র-বর্বর, গণতন্ত্র বিরোধী সরকার রয়েছে। টিভি-৯ বাংলাকে ভোনে দিল্লি থেকে শান্তনু সেন বলেন, বেধড়ক মারধর করেছে। ছিনতাই করেছে। আমার ৪-৫ হাজার টাকা পকেটে ছিল। সব চুরি হয়ে গিয়েছে। ২ ঘণ্টা বসিয়ে রেখেও মন্ত্রী দেখা না করে পালিয়ে গিয়েছেন। তারপর আমাদের ঘিরে ধরে আতঙ্কবাদীদের মতো বর্বরোচিত আক্রমণ করা হয়েছে।
পাল্টা তোপ দেগে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “কলকাতায় আমাদের সঙ্গে পুলিশ কী করে? আমরা তো অনুমতিও পাই না। গাড়ি থেকে নামলেই তুলে নিয়ে যায়। তাহলে ওনারা কেন আশা করছেন ওনাদের কোলে করে নিয়ে গিয়ে চা খাওয়াবে? ওনাদের অবস্থানের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। অবস্থান করেছেন। কিন্তু, মিডিয়ায় ঠিকমতো ফুটেজ পাচ্ছিলেন না। তাই পুজোর আগে একটু বাজার গরম করছেন। এই সব নাটক করে আসলে দেখানো হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়ছেন।”
এদিকে আটক করার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে পুলিশ লাইনে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। বলেন, এত মারধর করে নিয়ে এসে দয়া করে আমাদের একটু জল খেতে দিয়েছে পুলিশ। আমি একজন প্রবীণ বিধায়ক। পুলিশ কর্মীরা যেভাবে আমার সঙ্গে ব্যবহার করল তা আমি কখনও আঁচও করতে পারিনি। দিল্লি থেকে ফিরেই খড়গহস্ত বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, এটা ভাবাই যায় না, ওরা যে কাজ করেছে সে কাজকে নিন্দা করার মত ভাষা নেই। এ ধরনের অসভ্যতা কল্পনা করা যায় না। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।