কলকাতা: হুগলির তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) ইতিমধ্যে বেআইনি নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার করেছে ইডি (ED)। তাঁর বিরুদ্ধে উঠে এসেছে ভূরি-ভূরি অভিযোগ। ফলত পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের এক কর্মীর গারদে থাকায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। এ হেন পরিস্থিতিতে নিজেদের ভাবমূর্তি ফেরাতে কুন্তলকে কি ছেঁটে ফেলবে তৃণমূল? যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা।
রবিবার তৃণমূল ভবনে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ প্রকল্পের মিউজিক ভিডিয়ো উদ্বোধন হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সায়নী ঘোষ, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যরা। তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সায়নী বলেন, “ও আমাদের যুবর কমিটিতে রয়েছে। উনি হুগলির নেতা। ওনার সঙ্গে অবশ্যই আমার নানা জায়গায় ছবি রয়েছে। আর আমরা যেখানে যাই সেখানে লক্ষ-লক্ষ লোক উপস্থিত থাকেন। তাঁদের অনেকের সঙ্গেই ছবি থাকে। তার মানে এই নয় যাদের সঙ্গে আমাদের দেখা হয় তাঁদের একটা ক্যারেক্টর সার্টিফিকেট আমরা পাই বা তাঁদের ইতিহাস-ভূগোল পরীক্ষা করে আমরা কাজ করি। এই বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। সেই কারণে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।” এরপরই সায়নী মন্তব্য করেন, “আমি সভানেত্রী হয়ে বলছি কুন্তল দোষী প্রমাণিত হলে তাঁকে সুরক্ষা দেওয়ার কোনও ইচ্ছা আমাদের নেই।”
উল্লেখ্য, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ মানিক ভট্টাচার্য যাঁদেরই নাম উঠে এসেছে তাঁদের মধ্যে সবার পূর্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল তৃণমূল। এবার ভোটের আগে কেলেঙ্কারিত কুন্তলের নাম উঠে আসতে তাঁর বিরুদ্ধেও দল যে ব্যবস্থা নিতে পারে এ দিন সায়নীর মন্তব্যে এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
সায়নী বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় যতগুলো পোস্টে ছিলেন তাঁকে ছ’দিনের মধ্যে সরানো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কুন্তল ঘোষ একজন যুবনেতা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।”
পরে বাঁকুড়ায় তৃণমূলের একটি সভায় যোগ দিয়ে কুন্তল প্রসঙ্গে সায়নী বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কুন্তল ঘোষের ক্ষেত্রেও সেই একই ব্যবস্থা করা হবে।” একইসঙ্গে তিনি এটাও স্পষ্ট করে দেন, কুন্তলের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ উঠছে, সবই তিনি যুব তৃণমূলের নেত্রী হওয়ার আগে। সায়নীর কথায়, “কুন্তল যে কেসে জড়িয়েছে তা ২০১৫ থেকে ১৭-র কেস। সায়নী ঘোষ ২০২১ সালে যুব নেত্রী হয়েছে।”