কলকাতা: প্রান্তিক চক্রবর্তী পরিচালিত, রাজন্যা হালদার অভিনীত শর্ট ফিল্ম ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই এই শর্ট ফিল্মটির জন্য সাসপেন্ড হয়েছেন রাজন্যা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য প্রান্তিক ও রাজন্যা দুজনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে এরপরই প্রশ্ন উঠতে থাকে আরজি কর নিয়ে তিলোত্তমার ঘটনাকে শর্ট ফিল্মে দেখানোর জন্যই কি সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই নেত্রীকে? শনিবার একটি ভিডিয়ো বার্তা দিয়ে সেই গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
কুণাল তৃণমূলের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট একটি বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, “যেহেতু এই বিষয়টি তদন্তাধীন। অত্যন্ত স্পর্শকাতর ইস্যু। তাই এই নিয়ে কোনও সিনেমা বা শর্ট ফিল্মকে দল অনুমোদন দিচ্ছে না। আর এই সিনেমা বানানো নিয়ে যদি দলের কেউ জড়িত থাকেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে বলা হয়েছিল যথাযথ ব্যবস্থা নিতে তা তাঁরা নিয়েছেন। আমরা পরিষ্কার বলছি। এর সঙ্গে শিল্পী স্বাধীনতার ব্যাপার নেই। এটা সরকারের পক্ষে-বিপক্ষের বিষয়ও নয়। আমরা চাইছি না এই বিষয়টিই নিয়ে এখন কোনও কাজ যাতে না করা হয়। এটা মূল ব্যাপার।”
প্রসঙ্গত প্রান্তিক পরিচালিত ওই ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা আগামী ২ সেপ্টেম্বর। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে সেই শর্ট ফিল্মের পোস্টার। আর সেই ছবি মুক্তির আগেই শুক্রবার সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজন্যা ও প্রান্তিককে। এই বিষয়ে রাজন্যা হালদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কোনও প্রচারে ব্যবহার করা হচ্ছে না।’ ছবিটি দেখার আগেই কীভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে দল এমন সিদ্ধান্ত নিল, তাতে অবাক রাজন্যা। তবে তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘দলবিরোধী কাজ বলতে যা বোঝায়, তা আমি করিনি।”