
কলকাতা: ভোট এলে বা তার আগে বীরভূমের এক সময়ের ‘বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডলের মুখে শোনা যেত ‘চড়াম-চড়াম ঢাক বাজানো’ অথবা ‘গুড়-বাতাসার’ দাওয়াইয়ের কথা। এবার সেই একই সুর তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণালের ঘোষের গলাতেও। বললেন, “জল বাতাসা পরিষেবা দিলে ভালো লাগবে তো…।”
এ দিন, আহত ব্রাত্য বসুকে দেখতে এসএসকেএম পৌঁছন কুণাল ঘোষ। মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন তিনি। ব্রাত্য বসুর অভিযোগ ছিল, বাম ছাত্ররা তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেছে। গাড়ির ভিতরে তিনি থাকাকালীন গাড়ির সামনের কাচ ভেঙেছে তাঁরা। সেই কাচের কিছু তাঁর গায়ে পড়েছে। আহত হয়েছেন তিনি। যদিও সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম গোটা বিষয়টি ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
শনিবার তারই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কুণাল বলেন, “ওঁর যদি কোনও কর্মসূচিতে তৃণমূলের ছেলেরা জল-বাতাসা পরিষেবা যায় তখন সেলিম গ্রহণ করবেন তো। তৃণমূল ওই রাজনীতি কখনও করে না।” একই সঙ্গে গোটা বিষয়টি পরিকল্পিত হামলা বলে উল্লেখ করেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক।
কুণাল আজ বলেন,”মন্ত্রী গাড়িতে বসে। সেই সময় যদি গাড়ির কাচে হামলা হয়, তাহলে তা তো আহত করার মতো। শারীরিকভাবে আহত করবে বলেই টার্গেট করে রেখেছিল অসভ্যগুলো।” গোটা বিষয়টি পরিকল্পিত বলেই উল্লেখ করেন তৃণমূল রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন,”ওয়েবকুপার ঘোষিত সম্মেলন নষ্ট করতে গিয়েছে। মন্ত্রী তো বলেছেন কথা বলব। অধ্যাপকদের মারধর করেছে। এই বামেরা লন্ডভন্ড করেছে ৩৪ বছর ধরে। মাননীয় মন্ত্রী সংযম দেখিয়েছেন, অভিভাবকের মতো কাজ করেছে। তৃণমূলের সৌজন্যকে যেন দুর্বলতা না ভাবে। এদের চিহ্নিত করা হোক।”
কুণাল বলেন,”আমরা প্রতিহিংসা পরায়ন নই। সেইভাবে বুঝে নিতাম। তবে আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা যেন না নেয়। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ব্রাত্য বসুকে টার্গেট করা হয়েছে। মন্ত্রী তো বলছেন কথা বলতে রাজি। তারপরও এমন হামলা…এটা তো প্রাণঘাতী হামলা।”