
কলকাতা: একজন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ। অভিনেত্রী। অন্যজন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। প্রথমজন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন কয়েকদিন আগে। সেই ছবিই এবার পোস্ট করে প্রথমজনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন দ্বিতীয়জন। প্রথমজন হলেন মিমি চক্রবর্তী। আর দ্বিতীয়জন কুণাল ঘোষ।
অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী ফিনল্যান্ড থেকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। দু-হাতে চায়ের কাপ ধরা। চোখ বন্ধ। ছবিতে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ফিনল্যান্ডের ঠান্ডায় চা উপভোগ করছেন।
তাঁর সেদিনের সেই ছবিই রবিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন কুণাল ঘোষ। ছবিটি পোস্ট করে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক লেখেন, “একে মিমিকে পর্দায় আমার দারুণ লাগে; তার উপর আমি চা-ভক্ত। তাই ফিনল্যান্ড ভ্রমণে মিমির এই চা-তৃপ্তির ছবিটি দেখে মুগ্ধ। ভারী শক্তিশালী অভিনেত্রী। ‘যোদ্ধা’র রাজকুমারী সাজসজ্জার থেকে ‘বোঝে না সে বোঝে না’র সাধারণ লুকটিই যেন অসাধারণ। ‘রক্তবীজ’এ ‘সংযুক্তা’ করেছে ফাটিয়ে। এর মধ্যে দেখলাম ‘আমারো পরাণ যাহা চায়’ রবীন্দ্রসঙ্গীতটি চমৎকার গেয়েছে। যদিও প্রাক্তন সাংসদ তারকার সঙ্গে আমার আলাপ নেই। তবু, রবিবাসরীয় সকালে পর্দার প্রিয় মুখটির চা-তৃপ্তির ছবিটি পোস্ট করলাম।”
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে যাদবপুর কেন্দ্রে লড়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন মিমি। তবে চব্বিশের নির্বাচনের আগে তিনি জানিয়ে দেন, এবার আর ভোটে লড়তে চান না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে ইস্তফাও দেন। মুখ্যমন্ত্রী অনুমতি দিলে ইস্তফাপত্র লোকসভার স্পিকারের কাছে পাঠাবেন বলে জানিয়েছিলেন। সেইসময় তৃণমূলের একাংশ নেতার বিরুদ্ধে সরবও হয়েছিলেন তিনি। রাজনীতি তাঁর জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন।
সেইসময় কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, লোকসভার মেয়াদ শেষের পর কেউ যদি ইস্তফা দেয়, তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। নেত্রী দেখছেন। সেই কুণাল এদিন বললেন, পর্দায় মিমিকে তাঁর দারুণ লাগে। তবে দলের প্রাক্তন সাংসদের সঙ্গে তাঁর আলাপ নেই বলে জানালেন। এদিকে, হঠাৎ দলের প্রাক্তন সাংসদের ছবি দিয়ে কেন প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন কুণাল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।