বগটুই : বগটুইয়ের নৃশংস হত্যাকান্ড নিয়ে ইতিমধ্যে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। গতকালের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই একে একে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শাসক দল থেকে বিরোধী দলের বহু নেতা। শাসক দলের নেতা অনুব্রত মণ্ডল আবার এই ঘটনার পিছনে শর্ট সার্কিট তত্ত্বও তুলে ধরেছেন। যা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে প্রচুর। এদিকে আজই বিজেপির প্রতিনিধি দল বগটুইয়ের ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে। বিজেপির প্রতিনিধি দলের সেখানে যাওয়ার সরঞ্জামের কটাক্ষ করেছেন একাধিক তৃণমূল নেতা। এদিকে সংবাদ মাধ্যমে ছবি সামনে এসেছে যে বগটুইতে যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে ল্যাংচা এবং ডাব খাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। বিজেপি নেতাদের এই ধরনের ‘বিলাসিতার’ বিরুদ্ধে সমালোচনা শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের মুখে।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, “আসলে ওরা পিকনিক করতে গিয়েছিলেন। তাঁরা তো আসলে রাজনৈতিক ট্যুরিস্ট। যেভাবে ট্যুরিস্টরা মাঝে দাঁড়িয়ে পড়েন। সেভাবে তাঁরাও দাঁড়িয়ে গেলেন। যাওয়ার আগেই শক্তিগড়ে ল্যাংচা খেতে বসে গেলেন। অনেক ল্যাংচা বিক্রি হয়েছে। আসলে মানসিকতা বোঝা যায়।” তাঁর আরও সংযোজন, “রামপুরহাটে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয় ঘটনা। সেটা নিয়ে বিজেপি যা করছে তা যথাযথ নয়। একটা অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার পরে প্রশাসন যা যা করার করছে।” তিনি আরও বলেছেন,”বিজেপি শকুনের রাজনীতি করছে।” কুণাল ঘোষ এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, বিজেপি কোনও আন্দোলন করার সুযোগ পাচ্ছিল না। কিন্তু বগটুই হত্যাকান্ডে তাঁরা আন্দোলনের সুযোগ পেয়েছে। সেখানে মৃতদেহ পেয়ে লোডশেডিংয়ে জেতা বিরোধী দলনেতার মুখে তৃপ্তির হাসি রয়েছে বলেও জানান কুণাল ঘোষ। তাঁর সংযোজন, “আমরা বলছি মৃত্যু দুঃখজনক। আর তাঁরা ল্যাংচা খাচ্ছেন ”
কুণাল ঘোষের নিশানায় বিজেপির পাশাপাশি ছিল সিপিএমও। এদিন সিপিএম এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও বিমান বসু বগটুইয়ে যান। সেখানে গিয়ে শাসক শিবির ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তাঁরা। এরপর সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ বলেছেন, “যে সিপিএম মরিচঝাঁপি, বিজন সেতু, সুচপুর, নানুর, নেতাই, ছোট আঙারিয়া, কোচবিহারের বিভিন্ন কান্ড করেছে। সেই সিপিএম আজ এই কথা বলতে এসেছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও পুলিশি হেফাজতে একাধিক মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা আজ রামপুরহাটের কথা বলছেন। গুজরাতে দাঙ্গার পরে বাজপেয়ী তখন মোদীকে রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলেন। ৩৫৬ করতে বলেননি। বিরোধীদের নৈতিক অধিকার নেই কথা বলার।”
আরও পড়ুন : Bagtui Massacre : এক সপ্তাহে ২৬ রাজনৈতিক খুন! সংসদে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুললেন সুকান্ত