কলকাতা : তৃণমূল আর ‘সর্বভারতীয়’ নয়। আঞ্চলিক দল হিসেবেই তৃণমূলের নাম উল্লেখ করা হবে এবার থেকে। জল্পনা ছিল আগেই। সোমবার সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। যে যে শর্ত পূরণ করলে জাতীয় দলের তকমা পাওয়া যায়, তা না থাকাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। কমিশনের সেই বিজ্ঞপ্তি সামনে আসার পরই ক্ষোভ প্রকাশ করল তৃণমূল (TMC) শিবির। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। দিল্লির মসনদে প্রাসঙ্গিকতা বাড়াতে সর্বোতভাবে চেষ্টা করছে ঘাসফুল শিবির। সেই আবহে তৃণমূলের এই তকমা হারানো, অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। কমিশন এই কাজ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত করেছে বলে মন্তব্য করে দলের সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, তৃণমূল আইনি পথে লড়াই করবে।
দলের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় জানিয়েছেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে সঙ্গে কথা বলবেন। আগামিদিনে কী পদক্ষেপ করা হবে, সে ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিন কমিশনের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে সৌগত রায় বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টও বলে দিয়েছে যে নির্বাচন কমিশন কীভাবে চলছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই কাজ করেছে কমিশন। যা যা তথ্য দেওয়ার, সব দেওয়া হয়েছিল। তাও জাতীয় দলের তকমা বাতিল করেছে। যা যা করার আগামিদিনে দেখতে পাবেন।’
জাতীয় দলের তকমা কেন থাকবে, তা জানতে চেয়ে কিছুদিন আগেই তৃণমূলকে নোটিস দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই মতো কমিশনে গিয়ে ফুল বেঞ্চের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন দলের সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তবে কোনও যুক্তিই ধোপে টেকেনি। একদিকে যখন ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল, অন্যদিকে তখন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।