TMC Meeting: ‘কে কী ছিলেন আর কী হয়েছেন সব জানি’, ভোটের আগে TMC কর্মীদের কী বার্তা ববি-সুব্রত-অরূপদের?

আজকে দেখবেন সংবাদপত্রে বেরিয়েছে যোগী রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় ডিটেনশন ক্যাম্প হচ্ছে। মানুষকে এই খবর জানিয়ে সচেতন করুন। সবাইকে বলুন, এসআইআর ফর্ম জমা দিতে। কেউ যেন ফর্ম নিয়ে বাড়িতে না রেখে দেয়। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে ১০০% লড়াই করতে চাই।

TMC Meeting: কে কী ছিলেন আর কী হয়েছেন সব জানি, ভোটের আগে TMC কর্মীদের কী বার্তা ববি-সুব্রত-অরূপদের?
বৈঠকে কী হল?Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 25, 2025 | 11:08 PM

কলকাতা: সোমবার তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বৈঠক করেন। ভোটের পুরো ‘ব্যাগ গুছিয়ে’ মাঠে নেমে পড়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। আর অভিষেক তৎপর হতেই আরও নড়েচড়ে বসল তৃণমূলের তাবড় নেতৃত্বরা।মঙ্গলবার তড়িঘড়ি দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা থেকে বিধায়ক-সহ একাধিক নেতৃত্ব বৈঠকে বসলেন। পরে বসলেন উত্তর কলকাতার বিধায়ক থেকে নেতাদের সঙ্গেও। সংশ্লিষ্ট বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ফিরহাদ হাকিম,অরূপ বিশ্বাস-সহ একাধিক নেতৃত্ব। আজ বৈঠকে কী কী হল একনজরে।

দক্ষিণ কলকাতার বৈঠক

ফিরহাদ হাকিম: নির্বাচন একটা যুদ্ধ। যুদ্ধে নামতে হলে যেমন গুলি-বারুদ,তলোয়ার লাগবে, তেমন নির্বাচনের যুদ্ধে লাগবে এই তথ্য। অরূপ বিশ্বাসরা নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে দাবি করবে। ওদের হাতে তো তলোয়ার তুলে দিতে হবে! সেই তলোয়ার হল এই এসআইআর ফর্মের তথ্য। এই তথ্য আপনারা ডিজিটাল অ্যাপে তুলে দিন। তথ্য না থাকলে হবে না। এই কাজ আপনাদের নিয়মিত ভিত্তিতে করতেই হবে। অ্যাপে আপলোড করতেই হবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে লড়াই করব।

পাশে থাকা সুব্রত বক্সি তখন বলেন, “এই তথ্যগুলি ঠিকমত থাকলে আমরা আইনি লড়াই করতে পারব। বৈধ ভোটারদের নাম বাদ গেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে দল।”

ফিরহাদ হাকিম: হ্যাঁ আইনি লড়াই হবে প্রয়োজনে। বিজেপি জোর করে গায়ের জোরে এসআইআর করার চেষ্টা করছে।

মাঠে দু’পক্ষের খেলা হয়। রেফারি থাকে। এখানে নির্বাচনের রেফারি হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্ব করার চেষ্টা করছে। বিজেপির বি টিমের কাজ করছে। তাই যা তথ্য পারছেন, পার্টির কাছে ডিজিটাল অ্যাপে তথ্য লিপিবদ্ধ করুন। আপনি যদি পার্টিকে এই তথ্য ঠিকমতো আপলোড না করেন, তবে ধরে নিতে হবে আপনি পার্টির নিঃস্বার্থ সৈনিক নন। তথ্য গোপন করলে বা চেপে গেলে সেটা দলের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।

আজকে দেখবেন সংবাদপত্রে বেরিয়েছে যোগী রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় ডিটেনশন ক্যাম্প হচ্ছে। মানুষকে এই খবর জানিয়ে সচেতন করুন। সবাইকে বলুন, এসআইআর ফর্ম জমা দিতে। কেউ যেন ফর্ম নিয়ে বাড়িতে না রেখে দেয়। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে ১০০% লড়াই করতে চাই।

অরূপ বিশ্বাস: কাউন্সিলররা হচ্ছে আমাদের আসল মেরুদন্ড। তাঁরাই ভোট করছে। তারাই উন্নয়ন করছে। তারাই ভোটার লিস্টের কাজ করছে, এস আই আর এর কাজ করছে। তারাই আবার সংগঠন পরিচালনা করছে।

দু’একজন কাউন্সিললের ভূমিকা ভাল নয়। আমি এমন কাউন্সিলরদের দেখেছি, যাঁরা ঠিকমতো ক্যাম্পে যাচ্ছে না। সক্রিয় নন। এমনকি যে কর্মীরা কাজ করছে তাদেরকে পাঁচ পয়সার বাতাসাও খাওয়াননি। কাউন্সিলরদের বলব,যাঁরা ভোটার তালিকার এই কাজ করছে এসআইআর-এর কাজ করছে তাঁদের সমস্ত দিক থেকে সাপোর্ট দিন। যাঁরা ভাবছেন বিধায়কের ভোট হয়ে যাবে। আমি আমার ভোটের সময় বুঝে নেব সেটা করলে হবে না।

আসল খেলা শুরু হবে ৯ ডিসেম্বর থেকে। তার আগে সমস্ত ফর্ম জমা দিতে হবে ডিজিটাল অ্যাপ এ তুলতে হবে। টোটাল ডকুমেন্টেশন চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বহিরাগত বিজেপির বিরুদ্ধে এই লড়াই। তাই এই তথ্যগুলি ভাল করে হাতে থাকা দরকার।

সুব্রত বক্সি: আমাদের দল ক্যাডার ভিত্তিক পার্টি নয়। সবাই ঠিক মত যাচ্ছে না। অনেকেই নানা রকম কাজ করেন। আপনারা যারা বিএলএ ও টু হিসেবে কাজ করছেন সঙ্গে দু চারজন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে নিন, আপনি যেদিন থাকবেন না সেদিন বন্ধুদেরকে দায়িত্ব দিয়ে দিন। কিন্তু কোথাও বুথ খালি রাখা যাবে না। সবাইকে থাকতে হবে। বিএলওদের সঙ্গে সবাইকে থাকতেই হবে। ক্যাম্প এখন ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
কাউন্সিলররা প্রত্যেকদিন প্রত্যেকটি ক্যাম্পে ভিজিট করুন বিএল ওকে ফোন করুন বিএলও টুকে ফোন করুন সমস্ত খোঁজখবর নিন।

ফিরহাদ হাকিম: নানা ধরনের কাজ নিয়ে আপনারা ফোন করেন। তাহলে অ্যাপের কাজ কেন হবে না?কোথাও যদি কোনও সমস্যা থাকে তাহলে আমাকে কেন জানাননি?

উত্তর কলকাতার বৈঠকের আলোচনা এক নজরে

  • এই কটা দিন ভাল করে কাজ করলে আগামী পাঁচটা বছর ভাল থাকবেন।
  • দল না থাকলে কাউন্সিলর, এমএলএ কেউ থাকবেন না।
    দলটাকে আগলে রাখতে হবে।
  • এসআইআরের কাজ ভাল করে করুন।
  • যে কর্মীরা কাজ করছে, তাদেরকে সবদিক থেকে সাপোর্ট দিন।
  • কে কী ছিলেন আর কে কী হয়েছে আমরা সবাই সব জানি
  • নিজেদেরকে ভাল রাখতে হলে এই কটা দিন জান প্রাণ লাগিয়ে কাজ করুন।