কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় যতজন নেতা-মন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁর মধ্যে অন্যতম জীবনকৃষ্ণ সাহা। বড়ঞার বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর তাঁকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। বছর ঘুরে এবার মুক্তি পাচ্ছেন সেই বিধায়ক। মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়েছেন জীবনকৃষ্ণ। আজ, বুধবার নিম্ন আলিপুর আদালত থেকে জামিন নিশ্চিত করলেন বিধায়ক জীবন সাহা। আলিপুর আদালত তাঁর জামিন নিশ্চিত করে একাধিক শর্ত আরোপ করেছে। এরপর এদিন বিকেলেই জেল থেকে বেরন তিনি।
কোন কোন শর্তে জামিন?
১. ৫০ হাজার বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে।
২. রাজ্যের বাইরে আদালতের নির্দেশ ছাড়া যেতে পারবেন না বিধায়ক।
৩. তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে জামিন পাওয়ার পর।
৪. প্রতিটি শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হবে।
৫. কাউকে এই মামলার ক্ষেত্রে কোনও হুমকি দেওয়া যাবে না। প্রমাণ লোপাট করা যাবে না।
৬. পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে।
শর্ত আরোপ করা হলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ যে ভোটের মাঝে বিধায়ককে বড় স্বস্তি দিয়েছে, তা স্পষ্ট। মূলত নবম-দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ ছিল জীবন সাহার বিরুদ্ধে। শাসক দলের বিধায়কের হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী মুকুল রোহাতগি ও অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা। হাইকোর্টে তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল জীবনকৃষ্ণকে। তাঁর বাড়িতে যখন তল্লাশি চালানো হয়েছিল, সেই সময় বাড়ির পাঁচিল টপকে নেমে পুকুরে নিজের মোবাইল ছু়ড়ে ফেলেছিলেন বিধায়ক। পরে প্রায় ২ দিন ধরে মেশিন এনে জল বের করে সেই মোবাইল উদ্ধার করা হয়।