কলকাতা : হাঁসখালির মৃত নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনার নৃশংসতায় নিন্দায় সরব হয়েছেন ডান – বাম সব পক্ষ। মঙ্গলবারই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে হাঁসখালি গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। একে তো বিজেপির থেকে ক্রমাগত চাপ তৈরি করা হচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের উপর। তার উপর এবার কংগ্রেসের বাড়তি চাপে মেজাজ হারালেন তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র। মঙ্গলবার রাতেই একটি টুইট করে বসেন তৃণমূলের তারকা নেত্রী। এবার সরাসরি অধীর বাবুকে ব্যক্তি আক্রমণ।
অধীর চৌধুরীর হাঁসখালি যাওয়ার পর টুইটারে লাভলি লেখেছেন, “আপনি আগে আপনার স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যু রহস্য সামনে নিয়ে আসুন। সিবিআই তদন্ত চাই… আপনার মেয়ের মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হোক। এক নিদারুণ নির্যাতনে… কষ্টে, তিলে তিলে আপনার স্ত্রী মৃত্যু বরণ করেছেন। তার সত্যটা সামনে আসুক।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার অধীর চৌধুরী রাজ্যের বিরুদ্ধে হাঁসখালি ইস্যুতে সুর চড়িয়েছিলেন। অধীর বাবু অভিযোগ তোলেন, নির্যাতিতার বাবা-মাকে থানায় নিয়ে গিয়ে তাঁদের উপর মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। তার উপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি মঞ্চ থেকে যে মন্তব্য করেছিলেন, সেই প্রসঙ্গেও তোপ দেগেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বলেছিলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছিলেন, সেটাকেই সত্য বলে প্রমাণিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।”
এর পাশাপাশি অধীর বাবু নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আশ্বাস দিয়েছিলেন, আইনি লড়াইয়ে কোনওরকম সাহায্যের দরকার হলে, তাও করবেন। অধীর চৌধুরী হাঁসখালিতে যাওয়ার দিনই রাতে লাভলি মৈত্রের এই টুইট জোর শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, প্রদেশ কংগ্রেস অধীর চৌধুরী হাঁসখালিতে গিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যে আক্রমণ শানিয়েছেন, তার জেরেই এই টুইট বাণ তৃণমূলের তারকা বিধায়কের।
তবে ঠিক কী কারণে তিনি এই টুইট করেছেন, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি লাভলি মৈত্র। বিষয়টি নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।