মদনের ‘বউমা ষষ্ঠীর’ উপহার দেখে চমকে গেলেন ছেলের বউ

সৈকত দাস |

Jun 14, 2021 | 6:08 PM

পালকি করে বৌমাকে এনেছিলেন শ্বশুরমশাই মদন মিত্র। আর শ্বশুর জেলে থাকাকালীন শাশুড়ির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কোমর বেঁধে তাঁর জন্য ভোট প্রচারে নেমেছিলেন বৌমা স্বাতী মিত্রই।

মদনের বউমা ষষ্ঠীর উপহার দেখে চমকে গেলেন ছেলের বউ
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

প্রীতম দে: জামাইষষ্ঠী আছে তবে বউমা ষষ্ঠী নেই কেন? ইদানীং এই প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে। অনেক বাড়িতে বউমা ষষ্ঠীর (Bouma Sasthi) রেওয়াজও শুরু হয়েছে। যেমন শ্বশুরমশাই মদন মিত্র (Madan Mitra)। কামারহাটির বিধায়ক, প্রাক্তন মন্ত্রী এবার ঘটা করে বউমা ষষ্ঠী পালন করলেন। তবে একটু অন্য ভাবে।

পালকি করে বৌমাকে এনেছিলেন শ্বশুরমশাই মদন মিত্র। আর শ্বশুর জেলে থাকাকালীন শাশুড়ির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, কোমর বেঁধে তাঁর জন্য ভোট প্রচারে নেমেছিলেন বৌমা স্বাতী মিত্র। তখন নাতি লোলোও খুব ছোট। এখন অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছে নাতি। পরিষ্কার উচ্চারণে দাদুর বিখ্যাত ‘ওহ্ লাভলি’ গান সেও গাইতে পারে। আর নবনির্বাচিত বিধায়কের পুত্রবধূ মানুষের সেবায় কাজ করছেন। করোনা ও ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবিতদের সাহায্য করছেন তিনি। তাঁর স্কুল নব নালন্দার প্রাক্তনীদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা, কমিউনিটি কিচেন হোক কিংবা ত্রাণ নিয়ে উপকূলবর্তী অঞ্চলে ছুটে যাওয়া, সবকিছুই করছেন স্বাতী দেবী।

এহেন বউমা জামাইষষ্ঠীর আগে যদি শ্বশুরের কাছে আবদার করেন তাঁর স্কুলে আয়োজন করা রক্তদান শিবিরে থাকতে হবে, তবে তিনি কী করে আর না করতে পারেন। তাই জামাইষষ্ঠীর আগে বউমার আবদার মেটাতে নব নালন্দা স্কুলে হাজির মদন মিত্র। চোখে পরিচিত রোদচশমা। পরনে পাঞ্জাবি।

তাঁর কথায়, “করোনা হয়েছিল তাই নেহাত রক্তটা দিতে পারছি না। কিন্তু নব নালন্দার প্রাক্তনীরা যা করছে একটাই কথা বলবো, ওহ্ লাভলি।” ‘ব্র্যান্ড এমএম’ হাসিমুখে বললেন শ্বশুরমশাই মদন মিত্র। অন্যদিকে বৌমা স্বাতী মিত্র জানাচ্ছেন, “বাবা এসে দাঁড়িয়েছেন আমাদের পাশে, এটাই অনেক বড় উপহার। তাছাড়া অনুমতি থাকলেও আমি রক্ত দিতে দিতাম না। কারণ, বাবা এখনও বেশ দুর্বল।” এভাবেই বউমা ষষ্ঠী সেলিব্রেট করলেন মদন ও পুত্রবধূ।

রক্তদান সম্ভব না হলেও পুত্রবধূ আর তাঁর সঙ্গীসাথীদের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন শ্বশুর মদন। নিজের স্বভাবসিদ্ধ স্টাইলে নতুন গানের দু’কলি পরিবেশন করেছেন। বউমার সঙ্গে সেলফি তুলে এভারগ্রিন মদন গাইলেন,”আমরা টু নাইন ফোর তোরা ফোর টু জিরো…আমরা হিরো।”

আরও পড়ুন: জামাইষষ্ঠীতেই চালু হতে পারে বাস পরিষেবা, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি আজই নবান্নে?

বউমা ষষ্ঠী পালন করে মদন বলেন, “কামারহাটিতেই পড়ে থাকি, ঘরে আগুন না লাগলে পরিবারের জন্য সময়ে দেওয়াই হত না।” প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতে আগুন লেগেছিল। আর পরিবারের সঙ্গে না থাকার মতো আক্ষেপ মাঝে মাঝেই শোনা যায় তাঁর মুখ থেকে। সেটা মিথ্যাও নয়। ভবানীপুরের থেকে কামারহাটিতেই তাঁর দেখা মেলে বেশি। তবে বউমার আবদারে এদিন বেশ কিছু ক্ষণ সময় কাটালেন সবার সঙ্গে।

Next Article