কলকাতা: এক সময়ের পরিবহণ মন্ত্রী। দায়িত্ব সামলেছেন ক্রীড়া দফতরেরও। পাশাপাশি তৃণমূলের দাপুটে নেতা। তিনি মদন মিত্র। এক সময় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সব দায়িত্ব সামলালেও এখন তিনি শুধুই কামারহাটির বিধায়ক। সম্প্রতি, এ রাজ্যের মন্ত্রিসভার রদবদল হলেও মন্ত্রিত্ব পাননি তিনি। এর জেরে আক্ষেপ রয়েছে তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার? কী বললেন তিনি?
মঙ্গলবার বিভিন্ন ইস্যুতে সাংবাদিক প্রশ্নের উত্তর দিতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ককে। একদিকে যেমন তিনি বিজেপি-র বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। এর পাশাপাশি সুপ্রিমোর গুণগানও করেন। তবে মন্ত্রিসভার রদবদল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মন্ত্রিসভা মানেই চাপ, রিটায়ার্ড লাইফ ভালই কাটাচ্ছি।”
সোমবার যখন মন্ত্রিসভার বিভিন্ন দফতর বণ্টন চলছিল, তখন কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল এবার কি তবে মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন মদন? কিন্তু না। তেমনটা হল না। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক মুচকি হেসে বলেন, “আমি আশাই করিনি। কারণ দল থেকে তো আমায় তেমন কোনও ইঙ্গিত দেওয়াই হয়নি। আর এটা সম্পূর্ণ দলের ব্যাপার। তিনি যেটা ভাল বুঝেছেন সেইটাই করেছেন।” এরপর বেশ উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, “আর মন্ত্রিসভা মানেই চাপ-দৌড়াদৌড়ি। এখন ভালই আছি। আমার তো মনে হয় বিদেশে রাজনীতিবিদরা যেমন একটা বয়সের পর অবসর জীবন কাটান। আমিও তেমন কাটাচ্ছি।”
তবে মদন যতই বলুন না কেন অবসর জীবন কাটাচ্ছেন, বছর ৬৭-এর এই নেতা এখনও সক্রিয়ভাবে রাজনীতির অংশ। প্রায়শই তিনি থাকেন সংবাদ শিরোনামে। কখনও বিরোধীদের চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন। কখনও আবার দলের কোনও কর্মীর অন্যায় দেখলে প্রতিবাদে সামিল হন। শুধু রাজনীতি নয়, তিনি সমান জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াতেও। কখনও গানের শ্যুটিং কখনও বা রিল বানিয়ে টেক্কা দেন তরুণ প্রজন্মকেও। এমনকি, সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। সবমিলিয়ে ‘লাভলি’ সময় কাটছে কামারহাটির বিধায়কের।