কলকাতা: বিজেপি-কে ‘পকেটমারের’ সঙ্গে তুলনা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গত বুধবার বিধানসভা চত্বর কার্যত উত্তাল হয়ে ওঠে তৃণমূল-বিজেপি-র ধরনায়। দুর্নীতি ও বঞ্চনাকে হাতিয়ার করে দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে ‘চোর-চোর’ স্লোগান তোলে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবারও একই ছবি বিধানসভায়। সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কক্ষে প্রবেশ করতেই ‘চোর’ স্লোগান তুলে অধিবেশন ছাড়েন পদ্মবিধায়করা। এ প্রসঙ্গে আজ মুখ খোলেন অভিষেক। পদ্মবিধায়কদের পকেটমার বলে উল্লেখ তৃণমূল নেতা দাবি করেছেন, যাঁরা নিজেরা চুরি করে তাঁরাই দূরে দাঁড়িয়ে এমন চোর বলে অন্যকে।
এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে অভিষেক আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। নারদা বিতর্কের কথা আরও একবার তুলে ধরে তিনি বলেছেন, “যে সব থেকে বেশি চিৎকার করছে তাঁকে টিভির পর্দায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। একুশ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ববি হাকিম, মদন মিত্রকে গ্রেফতার করা হল।” শুভেন্দু কেন গ্রেফতার হলেন না? প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের ‘নম্বর টু’।
আজ সাংসদ পকেটমারের সঙ্গে গেরুয়া বিধায়কদের তুলনা করে বলেছেন, “ছোটবেলায় মা-ঠাকুমার কাছ থেকে গল্প পড়তাম পকেটমার হইতে সাবধান। রাস্তায় যাঁরা চুরি করে, পকেটমারি করে, তাঁদের দেখবেন চুরির পর দূরে দাঁড়িয়ে নিজেরাই চোর বলে চিৎকার করে। এরা সেই পকেটমার।” অভিষেকের দাবি, নিজেরা পকেট মেরে, চুরি করে আবার চোর বলে কটাক্ষ করে অন্যকে। আসলে বিজেপি নেতারাই পকেটমার।
একুশের নির্বাচন যত কাছে আসছে শাসক-বিরোধী কাদা ছোড়াছুড়ি ততই যেন বাড়ছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, একদিকে বাংলায় যখন নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, গরুপাচার সহ একাধিক মামলায় ধরপাকড় তল্লাশি চলছে তখন কৌশলগত ভাবেই বিজেপি লাগাতার চোর চোর স্লোগান তুলে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে।