
সিঙ্গাপুর: জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার পর এবার সিঙ্গাপুর। ফের বাঙালি আবেগে শান দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের এসপ্ল্যানেড পার্কে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি মেমোরিয়ালে যান তিনি। এদিন সিঙ্গাপুরে অবস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনেও যান।
এসপ্ল্যানেড পার্কে আইএনএ মেমোরিয়াল রয়েছে। শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে এদিন সেখানে যান অভিষেক। কিন্তু, সেখানে সংস্কারের কাজ চলছে। তাই বাইরে থেকেই শ্রদ্ধার্ঘ জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদানের কথাও তিনি তুলে ধরেন।
এদিন সিঙ্গাপুরে রামকৃষ্ণ মিশনেও যান অভিষেক। রামকৃষ্ণদেব, মা সারদা ও স্বামীজির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ জানান। আধ্যত্মিক ও মানবিক প্রতিষ্ঠান রামকৃষ্ণ মিশন যেভাবে রামকৃষ্ণদেব, মা সারদা ও স্বামীজির আদর্শকে বহন করে চলেছে, তার প্রশংসা করেন অভিষেক।
অপারেশন সিঁদুর ও সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পদক্ষেপের কথা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে বহুদলীয় প্রতিনিধি দল। তেমনই একটি প্রতিনিধি দলের সদস্য অভিষেক। এশিয়ার পাঁচটি দেশে পরপর যাচ্ছেন অভিষেকরা। প্রথমে গিয়েছিলেন জাপান। তারপর দক্ষিণ কোরিয়া হয়ে সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছেন। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া নিয়ে সরব হন অভিষেক। তেমনই ওই দুটি দেশে গিয়ে বাঙালি আবেগে শান দিতে দেখা যায় তাঁকে।
টোকিয়োতে স্বাধীনতা সংগ্রামী রাসবিহারী বসুর স্মৃতি সৌধে গিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ জানান অভিষেক। বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর স্মৃতিসৌধটি ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই নিয়ে জাপানে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অভিষেক। টোকিয়োতে রাধাবিনোদ পালের স্মৃতিসৌধেও শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। আবার দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়ে কোরিয়ানদের সঙ্গে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গভীর সাংস্কৃতিক যোগের কথা তুলে ধরেন। এবার সিঙ্গাপুরে গিয়েও বাঙালি আবেগে শান দিতে দেখা গেল অভিষেককে।