Kalyan on Sukanta: ‘তুই আয় শ্রীরামপুরে…কীভাবে ঘরে ফিরিস দেখব’, সুকান্তকে হুমকি কল্যাণের

সাবিনা ইয়াসমিনকে আক্রমণ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তাঁকে বাংলাদেশ পাঠানোর কথা বলেছিলেন। পরে SIR ইস্যুতে বলতে গিয়ে গুলি চলার কথা বলেছিলেন। সেই নিয়েই পাল্টা বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে 'তুই-তুকারি' করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)।

Kalyan on Sukanta: তুই আয় শ্রীরামপুরে...কীভাবে ঘরে ফিরিস দেখব, সুকান্তকে হুমকি কল্যাণের
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 17, 2025 | 5:11 PM

কলকাতা: সাবিনা ইয়াসমিন তারপর সুকান্ত মজুমদার এরপর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)! এরা সকলেই জনপ্রতিনিধি। কেউ রাজ্যের মন্ত্রী, কেউ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কেউ আবার সাংসদ। অথচ প্রত্যেকেই বেলাগাম। কেউ কাউকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন, কেউ আবার সব লন্ডভন্ড করে দেওয়ার কথা আবার এবার উড়িয়ে দেওয়ার কথা বলছেন। একটু খুলে বলা যাক। সাবিনা ইয়াসমিনকে আক্রমণ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার তাঁকে বাংলাদেশ পাঠানোর কথা বলেছিলেন। পরে SIR ইস্যুতে বলতে গিয়ে গুলি চলার কথা বলেছিলেন। সেই নিয়েই পাল্টা বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ‘তুই-তুকারি’ করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)।

SIR ইস্যু নিয়ে কল্যাণ বলেন, “বেআইনি করুক না। একটা ভোটারকে বাদ দিয়ে দেখুক। স্তব্ধ করে দেব কমিশন। ওই ছোড়াটা…যেটা মন্ত্রী হয়েছে… দেখ না CISF কোথায় গুলি ছোড়ে। বালুরঘাটে ঢুকেছে, দশ হাজার ভোটে জিতেছে…এবার দেখছি আমরা। CISF দিয়ে গুলি চালাবে বলছে। অত বড় হিম্মত। বাংলার মানুষকে চিনিস না…ওই দু’চারটে সুকান্ত…হাওয়া দিয়ে উড়ে যাবে। আয় না একবার বক্তৃতা দিতে আমাদের এখানে। আয় তুই শ্রীরামপুরে। তারপর তুই ঘরে ফিরিস কীভাবে দেখব।”

পাল্টা আবার সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে একজন সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গুলি করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। ওর মানসিক স্থিতি কী আছে? বয়স হয়ে গিয়েছে।”

বিতর্কের সূত্রপাত কোথায়?

মালদহে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান থেকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে সাবিনা বলেন, “একটি লোকের নামও যদি অযাচিতভাবে ভোটার তালিকা থেকে বাদ যায়, তাহলে আমি সাবিনা ইয়াসমিন মোথাবাড়িতে লন্ডভন্ড করে রেখে দেব এটা মনে রাখব। এটা মনে রাখবেন, হয়ত অনেকেই এখানে বসবাস করছেন কিন্তু ২০০২ সালে কোনও কারণে ভোটার লিস্টে নাম তুলতে পারেনি বা নদী ভাঙনে তাঁদের নথি নষ্ট হয়েছে। এবার তাঁদের নাম যদি বাদ যায় তাহলে কিন্তু আমরা ছেড়ে কথা বলব না।

তকনই সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরাও চাই প্রত্যেক বৈধ ভোটারের নাম থাকুক। কিন্তু, যার বাবা-মা-ঠাকুরদার নাম ভোটার লিস্টে নেই। অথচ তার নাম ভোটার লিস্টে উঠে গিয়েছে। এটা কীভাবে হয়েছে? আমি বলছি, ভারতীয় মুসলমানদের নাম ভোটার লিস্টে থাকবে, তাতে তাঁরা আমাদের ভোট দিন আর না দিন। কিন্তু, বাংলাদেশি মুসলমান যাঁরা অনুপ্রবেশ করেছেন, তাঁদের নাম থাকবে না।” তিনি সতর্ক বার্তা দিয়ে সাধারণ মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তৃণমূলের কথায় রাস্তায় নামবেন না, রাস্তায় নামলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামবে। যেমন মুর্শিদাবাদের সময় নেমেছিল। যদি দোকানঘর পোড়ানবাড়িতে আক্রমণ করেন, তৃণমূলের কোনও নেতার ছেলের জীবন যাবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামলে গুলি চলবে। আপনার বাড়ির লোকেদের গুলি লাগবে। আর তৃণমূল নেতারা AC ঘরে বসে থাকবেন।”