কলকাতা: আপাতদৃষ্টিতে ধুতি-পাঞ্জাবি পরা, পাকা মাথার ‘সে-কেলে’ রাজনীতিবিদ বলে মনে হলেও সৌগত রায়ের (Sougata Roy) রসবোধের পরিচয় আগেও পাওয়া গিয়েছে। শীতকালীন সন্ধ্যায় খাদ্যমেলার আসরে মধ্য সত্তরের সাংসদের সেই রসবোধের নমুনা পাওয়া গেল আবারও। পোড় খাওয়া রাজনীতিক, যিনি সংসদ কক্ষের বিতর্কে অনর্গল বলে যেতে পারেন, সেই রাজনীতিকের মুখে শোনা গেল বলিউডের নায়িকাদের কথা। তাঁরা কেমন দেখতে, তাঁদের অভিনয় কেমন, এ সব নিয়ে কথা বললেন তিনি। তাঁকে সঙ্গত দিলেন মন্ত্রী তথা গায়ক বাবুল সুপ্রিয়ও।
ব্যাক টু ২০১৯! দমদমের খাদ্যমেলায় বছর তিনেক আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন। দর্শকের অনুরোধে রবিনা যখন মঞ্চে উঠে নাচতে শুরু করলেন, তখন তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ‘তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত মস্ত’ গানের ছন্দে কোমর দোলান সৌগত রায়ও। মঞ্চে বসে থাকা ব্রাত্য বসুও রবিনার অনুরোধে উঠে দাঁড়ান। সেই দৃশ্যের কথা মনে আছে অনেকেরই।
কাট টু ২০২৪! আবার একটা শীতকালীন সন্ধ্যা। আবারও দমদম। আবারও সেই খাদ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের মঞ্চে নিজেই পুরনো কথা মনে করালেন সৌগত। বললেন, ‘এর আগে একবার নালে ঝোলে (দমদমের খাদ্যমেলা)-তে রবীনা ট্যান্ডন এসেছিলেন। আমার সঙ্গে নেচেছিলেন। আবার শিল্পা শেট্টি এসেছিলেন। ওরকম সুন্দর দেখতে মহিলা, অত খারাপ পাঠ (অভিনয়) করেন, আমি জীবনে দেখিনি। বিদ্যা বালান এসেছিলেন। তাঁকে সাধারণ দেখতে। কিন্তু অত ভাল পাঠ (অভিনয়) করেন, এও দেখিনি।’
এই অবধি বলার পরই সৌগত রায়ের হাত থেকে মাইক নেন বাবুল সুপ্রিয়। হেসে বললেন, “দুবার বেস্ট পার্লামেন্টারিয়ান অ্যাওয়ার্ড পাওয়া সৌগতদা এত নায়িকার নাম জানেন, এতেই আমি নালে ঝোলে একাকার হয়ে যাচ্ছি। এইভাবেই আগামিদিনে আপনার সঙ্গে আরও নায়িকাদের আলাপ হোক। আপনি তাঁদের সঙ্গে নাচুন। আমরা এভাবেই দীপ জ্বালিয়ে চলে যাব। আপনি পথে হল দেরি করবেন, আমাদের কোনও আপত্তি নেই।”
মেলা প্রাঙ্গণে তখন হাততালির ঝড়। বাবুলের কথা শুনে হাসলেন সাংসদও। তবে এদিন বাবুলের প্রশংসা করতেও ভোলেলনি সৌগত রায়। কতটা দক্ষতার সঙ্গে তিনি গান করেন, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন দমদমের সাংসদ।