Sudip Banerjee: লোকসভায় মমতার রেকর্ড ৩৪, এবার ৪২-এর দিকে এগোবে : সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 28, 2023 | 6:54 PM

Sudip Banerjee: সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এজেন্সি কী করবে না করবে আমার দেখারও দরকার নেই, বলারও দরকার নেই। কিন্তু এজেন্সির মুশকিল হল, কাউকে ধরলে সে তো একদিন জামিন পাবেই। আমিও পেয়েছি আদালতে গিয়ে। তবে অনেকের তা পেতে বছরের পর বছর যায়। আমার জানার, চূড়ান্ত রায়টা কবে বেরোবে?"

Sudip Banerjee: লোকসভায় মমতার রেকর্ড ৩৪, এবার ৪২-এর দিকে এগোবে : সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি ভোটের বৈতরণী পার করতে চাইছে বলে দাবি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এজেন্সির অপব্যবহার চলছে বলে শনিবার মন্তব্য করেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান সাংসদ। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে না চাইলেও সুদীপ বলেন, “আমি ন’ বার জিতেছি কলকাতা থেকে, নয়না চারবার জিতেছে। আমরা মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করি। ওরা ভাবছে এভাবে নির্বাচনী বৈতরণী পার করা যাবে। ভুল ভাবছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেকর্ড লোকসভায় ৩৪ ছিল। এবার ৪২-এর দিকে এগোবে।”

বাড়িতে প্রতি বছরই লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর কলকাতার তৃণমূল নেতা কর্মীরা তো বটেই, অন্যান্য জায়গা থেকেই বহু দলীয় নেতৃত্ব আসেন এই পুজোয়। এবারও তার অন্যথা হবে না বলেই জানান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বাড়িতেই এজেন্সির গরিমা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এজেন্সি কী করবে না করবে আমার দেখারও দরকার নেই, বলারও দরকার নেই। কিন্তু এজেন্সির মুশকিল হল, কাউকে ধরলে সে তো একদিন জামিন পাবেই। আমিও পেয়েছি আদালতে গিয়ে। তবে অনেকের তা পেতে বছরের পর বছর যায়। আমার জানার, চূড়ান্ত রায়টা কবে বেরোবে? আমি তো কোনও রায় বেরোতে দেখিনি। আমি তো ঠিক করেছি, সংসদ খুললে নিজেই এবার দাবি করব ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে এর বিচার হোক।”

সুদীপের কথায়, একজনকে অভিযুক্ত বলে গ্রেফতার করে দিনের পর দিন আটকে রাখা হয়। অথচ কোনও মামলারই রায় আর সামনে আসে না। এ প্রসঙ্গে তাপস পাল, সুলতান আহমেদদের কথাও বলেন তিনি। বলেন, “ওরা চলে গেল। সারা জীবনই মনে থাকবে ওরা সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। কিন্তু বিচার তো পেল না। এগুলো আমাকে যন্ত্রণা দেয়।” সুদীপের কথায়, সরকার বদল হবে। কিন্তু ইডি বা সিবিআইয়ের মতো এজেন্সি দেশে থেকেই যাবে। ফলে সেই মর্যাদা, গরিমা তাদের ছুঁতে হবে। প্রভাবিত হয়ে কাজ করলে চলবে না।

এদিন কেন্দ্রের টাকা না দেওয়া নিয়েও সরব হন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করে দিয়েছেন। সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যেন আরও জোরদার হয়। বাংলা আরও বেশি করে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হোক চাই। দিল্লি তো বাংলার টাকা দিচ্ছে না। সেদিক থেকে আমাদের একটা অসুবিধা আছেই। মাকে এবার বারবার ডেকে বলছি, আর্থিক সঙ্কট থেকে বাংলাকে মুক্ত করুক। মানুষও যেন আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছলতা ফিরে পায়।”

Next Article