কলকাতা: সপ্তাহ খানেকের বেশি সময় কেটে গেল বিতর্ক শুরু হয়েছে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে। সংসদে প্রশ্ন করার জন্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির থেকে নাকি ঘুষ নিয়েছেন মহুয়া, এমনই অভিযোগ তুলে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। বিস্ফোরক এই অভিযোগ সামনে আসার পর চুপ থাকেননি মহুয়া। তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছেন সিবিআই বা এথিক্স কমিটির প্রশ্নের মুখোমুখি হতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তবে এই বিতর্কে এখনও পর্যন্ত তাঁর দল অর্থাৎ তৃণমূল তরফে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে গত কয়েকদিনে মহুয়া প্রসঙ্গে কিছু শোনা যায়নি। তবে মহুয়া তাঁর অবস্থানে অনড়।
তৃণমূলের কোনও নেতা বা নেত্রী, বিতর্কের মুখে পড়েননি তা নয়। বিভিন্ন সময়ে তাঁদের সমর্থনে কথা বলতেও শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, দলের সাংসদ তথা জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের অন্যতম মুখ মহুয়ার বিষয়ে দল নীরব কেন?
মহুয়া এমন একজন নেত্রী, যিনি বারবার সংসদে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন। একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিভিন্ন ইস্যুতে শিরোনামে এসেছে মহুয়ার নাম। দলের যে কোনও বক্তব্য নেই, সে কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, দলের এ ব্যাপারে বলার কিছু নেই।
উল্লেখ্য, কালীপুজো সম্পর্কে মন্তব্য করে যখন বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মহুয়া, তখনও তাঁর পাশে থাকেনি দল। টুইটারে মা কালীর পূজার রীতি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তৃণমূল সেই সময় স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছিল যে দল মহুয়াকে সমর্থন করছে না। সেই সময়েও মহুয়া নিজের মন্তব্য থেকে পিছিয়ে আসেননি। নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন। সাম্প্রতিক বিতর্কেও দেখা যাচ্ছে একই ছবি। দল পাশে থাকছে কি থাকছে না, তা মহুয়ার মাথাব্যাথার কারণ নয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।