TMC on Delhi police: বাংলা ভাষাও বাংলাদেশি? দিল্লি পুলিশের নোটিস নিয়ে সরব তৃণমূল

TMC: তৃণমূলের বক্তব্য়, 'এটি কোনও ভুল নয়। এটি একটি পরিকল্পিত অপমান। সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত একটি ভারতীয় ভাষার পরিচয় কেড়ে নেওয়ার এবং লক্ষ লক্ষ বাংলাভাষী ভারতীয়কে তাঁদের নিজের দেশে বহিরাগত হিসাবে চিহ্নিত করার একটি সরকারি প্রচেষ্টা।

TMC on Delhi police: বাংলা ভাষাও বাংলাদেশি? দিল্লি পুলিশের নোটিস নিয়ে সরব তৃণমূল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী Image Credit source: Facebook, TMC X

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Aug 03, 2025 | 3:09 PM

কলকাতা: বাঙালিকে অপমান করা হচ্ছে…বাংলা ভাষাকে অপমান করা হচ্ছে…বাংলায় কথা বললেই আটকে রাখা হচ্ছে…বাঙালিদের নির্যাতন করা হচ্ছে…. বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে এই রকমই একাধিক অভিযোগ করছে তৃণমূল। এর প্রতিবাদে ভাষা আন্দোলনেরও ডাকও দিয়েছেন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ইস্যুতে আরও শান দিল এ রাজ্যের শাসকদল। বঙ্গভবনে পাঠানো দিল্লি পুলিশের একটি চিঠিকে হাতিয়ার করে ফের সরব হয়েছে তৃণমূল। সেখানে বাংলা ভাষাকে বাংলাদেশি ভাষা বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। এক্স হ্য়ান্ডেলে একটি পোস্টও করেছে শাসকদল।

কী নিয়ে বিতর্ক?

এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল দিল্লি পুলিশের চিঠিটি পোস্ট করেছে। সেখানে বিতর্কিত অংশগুলিকে হাইলাইট করা হয়েছে। তৃণমূলের পোস্ট করা সংশ্লিষ্ট চিঠিতে দেখা যাচ্ছে, দিল্লি পুলিশের তরফে লেখা হয়েছে, তাদের একজন ট্রান্সলেটরের প্রয়োজন। যারা বাংলাদেশি ভাষা অনুবাদ করতে পারেন। মূলত, কয়েকজনকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে কিছু তথ্য তারা বাজেয়াপ্ত করেছে। সেই নথি যাচাইয়ের জন্য অনুবাদক চেয়েছে তারা। সেখানেই দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশি ভাষার জন্য ট্রান্সলেটর লাগবে বলে উল্লেখ করেছে।

তৃণমূলের বক্তব্য়, ‘এটি কোনও ভুল নয়। এটি একটি পরিকল্পিত অপমান। সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত একটি ভারতীয় ভাষার পরিচয় কেড়ে নেওয়ার এবং লক্ষ লক্ষ বাংলাভাষী ভারতীয়কে তাঁদের নিজের দেশে বহিরাগত হিসাবে চিহ্নিত করার একটি সরকারি প্রচেষ্টা। এক্স হ্য়ান্ডেলে তৃণমূল মনে করিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ২৫ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলেন। ভারতের ২২টি সরকারি ভাষার মধ্যে বাংলাও স্বীকৃত ভাষা। এটিকে “বাংলাদেশি” বলা একটি ইচ্ছাকৃত অপমান। ভাষাটিকে অবৈধ ঘোষণা করার চেষ্টা। এর মাধ্যমে ভারতীয় শিকড় মুছে ফেলা এবং বাংলা ভাষাভাষীদের বহিরাগত হিসেবে চিহ্নিত করার একটি জঘন্য প্রচেষ্টা বলে তৃণমূল লিখেছে।

বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আমি শুধু এটাই বলব বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা তুলে ধরার চেষ্টা তুলে চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি পুরো বিষয়টি জেনেই প্রতিক্রিয়া দেব।” বাঙালি অস্মিতা ইস্যুতে আগেই তোলপাড় হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। বস্তুত, বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলায় কথা বলছেন বলে তাঁদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে এই নিয়ে বারবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছে এ রাজ্যের শাসকদল। এমনকী একাংশ পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিমরা। এই পরিস্থিতি দিল্লি পুলিশের এই চিঠি যে আগুনে ঘি ঢালল বলার অপেক্ষা রাখে না।