
কলকাতা: বাংলাভাষীদের ভিনরাজ্যে হেনস্থা ইস্যুতে লাগাতার বিজেপিকে নিশানা করে চলেছে তৃণমূল। দিল্লি পুলিশের চিঠিতে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ উল্লেখ নিয়েও রাজ্যের শাসকদল সরব। বাংলার ‘অপমান’-র বিরুদ্ধে এই লড়াই থামালে চলবে না বলে এবার দলের নেতা-কর্মীদের বার্তা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। মঙ্গলবার কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মানুষের স্মৃতিশক্তি কম। আপনাদের সভা-সমিতি করে আরও বেশি করে বাংলার অপমান নিয়ে কথা বলতে হবে।”
এদিন ক্যামাক স্ট্রিটের অফিস থেকে রাজ্যের সব প্রান্তের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন সুব্রত বক্সী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ১০ হাজারের বেশি তৃণমূল নেতা-কর্মী এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।
সেখানে দলের নেতা-কর্মীদের বাংলার ‘অপমান’-র বিরুদ্ধে নিরন্তর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বললেন সুব্রত বক্সী। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বৈঠকে সুব্রত বক্সী দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “ভোটে হেরে আগ্রাসী বিজেপি। কেন তারা বাংলা বিরোধী, তা প্রচার করতে হবে।”
এরপরই তিনি বলেন, “বাংলা ভাষার উপর অত্যাচারের কথা মানুষকে জানান। মানুষের স্মৃতিশক্তি কম। প্রতিনিয়ত মিটিং মিছিল করুন। সর্বস্তরে মানুষের কাছে পৌঁছান। গান্ধী মূর্তিতে শনি ও রবিবার অবস্থান করুন।”
আর ৮-৯ মাস পরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিহারের মতো বাংলায় স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন(SIR) হতে পারে। এদিন দলের নেতা-কর্মীদের সুব্রত বক্সী বার্তা দেন, “ভোটার লিস্টে কারচুপি নিয়ে সজাগ থাকুন।” পাড়ায় পাড়ায় সমাধান প্রকল্পেও সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে কর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, এদিন অভিষেকের ভার্চুয়ালি বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে টিভি৯ বাংলাকে কল্যাণ বলেন, “বৈঠকে থাকতে পারব না বলে অভিষেককে জানিয়েছিলাম। অভিষেক ওকে লিখেছে।”