Kasba Case: পদের টোপ দিয়ে ছাত্রীকে ডাক! কসবা গণধর্ষণ-কাণ্ডে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার

Kasba Case: সেই কসবা-কাণ্ডে নয়া মোড়। মিলল তৃণমূল-যোগ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন কলেজেরই ছাত্র পরিষদের নেতা। তিনি ওই আইন কলেজেরই প্রাক্তন পড়ুয়া। বর্তমানে একজন অস্থায়ী কর্মী।

Kasba Case: পদের টোপ দিয়ে ছাত্রীকে ডাক! কসবা গণধর্ষণ-কাণ্ডে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি স্বার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে অভিযুক্তImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Jun 27, 2025 | 2:43 PM

কলকাতা: কলেজের মধ্যে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। আরজি করের ছায়া কি এবার কসবার উপর? নাকি অন্য কোনও রহস্য। দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজের এক ছাত্রীকে কলেজের অন্দরেই গণধর্ষণের অভিযোগ। গোটা ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কলেজেরই দুই কর্মী ও প্রাক্তন পড়ুয়ার। ইতিমধ্যেই ওই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এবার সেই কসবা-কাণ্ডে নয়া মোড়। মিলল তৃণমূল-যোগ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন কলেজেরই ছাত্র পরিষদের নেতা। তিনি ওই আইন কলেজেরই প্রাক্তন পড়ুয়া। বর্তমানে একজন অস্থায়ী কর্মী। এমনকি, কলেজের ছাত্র পরিষদের রাশও তার হাতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজের ‘রাজনৈতিক মহলে’ আলাদাই গাম্ভীর্য রয়েছে ওই তৃণমূল নেতার। এবার তার নাম জড়াল গণধর্ষণ-কাণ্ডে।

তবে গোটা ঘটনা ঘিরে কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বুধবার থানায় গিয়ে নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০-এর মধ্যে এই পৈশাচিক কাণ্ড ঘটে। কিন্তু সেই সময় কলেজের মধ্যে কী করছিলেন তিনি? স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের যে কোনও কলেজ বিকাল ৫টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে কীভাবে একটি সরকারি আইন কলেজে ভর সন্ধেয় গিয়েছিলেন ওই ছাত্রী?  সূত্রের খবর, নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন ছাত্র পরিষদের জিএস পদ দেওয়া টোপ দিয়েই ওই ছাত্রীকে কলেজে ডেকে এনেছিলেন অভিযুক্তরা। তবে কি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের সঙ্গে বেশ পরিচয় ছিল ওই ছাত্রীর? থাকছে প্রশ্ন।

এছাড়াও, আরজি কর-কাণ্ডের পর রাজ্যের সরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল প্রশাসন। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশাসনিক তরফে নিরাপত্তার কথা ভেবে নেওয়া নানা পদক্ষেপের ঘোষণা করেছিলেন। সেই ঘটনার পর ফের রাজ্যের অন্য়তম আইন কলেজে উঠল গণধর্ষণের অভিযোগ। প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা।

এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে আমি এখনও কিছু জানি না। তবে এটা যদি সত্যি হয়ে থাকে, সে যেই হোক না কেন, তৃণমূল নেতা থাক বা না থাক, সে অপরাধী।’ এরপর অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা প্রসঙ্গে তৃণাঙ্কুরকে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, ‘উনি ওই কলেজেই কাজ করেন। তবে এখন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোনও পদে নেই। এই ঘটনা যদি সত্যিই হয়ে থাকে,  তা হলে এমন শাস্তি দেওয়া হবে যেন কেউ আর কখনওই এই রকম কাজের কথা ভাবতে পর্যন্ত না পারেন।’