কলকাতা : পার্কিং ফি নিয়ে দিনভর জল্পনার পর আচমকা তৃণমূলের টুইট। পার্কিং ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য কলকাতা পুরনিগমকে ধন্যবাদ দিয়েছে তৃণমূল (TMC)। ধন্যবাদ জ্ঞাপনের বেশ কিছুক্ষণ পর পুরনিগমের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার কথা জানানো হয়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি। গত ১ এপ্রিল থেকে পার্কিং-এর খরচ বাড়ানো হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেটা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। নতুন রেট চার্টও দেওয়া হয়েছিল পুরনিগমের ওয়েবসাইটে।
শুক্রবার দুপুর। সংবাদমাধ্যমের সামনে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি বা অনুমোদন না নিয়েই পার্কিং ফি বাড়ানো হয়েছে। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছ থেকে সে কথা জানতে পেরেই নাকি মুখ্যমন্ত্রী মেয়রকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন।
কয়েক ঘণ্টা পর অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্যায় কুণালের সেই মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফিরহাদ। তিনি জানান, তাঁর কাছে এই মর্মে কোনও নির্দেশ আসেনি (ফিরহাদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় পর্যন্ত)। মুখ্যমন্ত্রী বললে নিশ্চই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবেন তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা ৫ মিনিটে টুইট তৃণমূলের। যা লেখা হল, তার প্রথম লাইনের বাংলা তর্জমা করলে হয়, ‘পার্কিং ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য আমরা পুরনিগমকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
We thank @kmc_kolkata for ROLLING BACK the decision to hike parking charges in Kolkata.
In these tough times, GoWB or KMC will never burden people. Our pro-people stance remains unchanged. Your well-being and welfare will ALWAYS be our FIRST & FOREMOST PRIORITY! https://t.co/Ywv7K8mQrc
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) April 7, 2023
টুইটের পরও পুরনিগমের ওয়েবসাইটে বর্ধিত ফি-র তালিকাই দেখা যাচ্ছিল। পরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আগেই হারেই ফি নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এ ব্যাপারে ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্ন করা হলে, কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
যে সিদ্ধান্তের বিষয় প্রশাসনিকভাবেই মেটানো উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন ফিরহাদ, দলীয় মুখপাত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন, আচমকা সেই সিদ্ধান্তের জন্যই ধন্যবাদ জানাচ্ছে দল! এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই বাড়িয়েছে জল্পনা।
এই প্রসঙ্গে বাম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘মমতা বা ফিরহাদ হাকিম কেউই আইনি অধিকার সম্পর্কে অবগত নয়। পুরসভা সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেবে পুরসভা। তাতে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। পুরসভার অস্তিত্বকেই অস্বীকার করা হচ্ছে।’