কলকাতা: পাখির চোখ এখন আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট। প্রতিটি রাজনৈতিক দল নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। প্রস্তুতি নিচ্ছে শাসক শিবিরও। পঞ্চায়েতের লক্ষ্যে এবার ঢেলে সাজানো হচ্ছে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠনকে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই আভাসই দিলেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ১ লা নভেম্বর থেকে ৩৬ টি সাংগঠনিক জেলাগুলির মধ্যে যেগুলিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে, এমন ৩১ টি সাংগঠনিক জেলায় মহিলা পঞ্চায়েতি সভার আয়োজন করছে শাসক শিবিরের মহিলা সংগঠন। প্রায় আড়াই মাস ধরে বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলাগুলিতে ঘুরে ঘুরে এই কর্মসূচি পালিত হবে। ১২ জানুয়ারি শেষ হবে মহিলা পঞ্চায়েতি সভা।
মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়েরও সংগঠনে দায়িত্ব বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়। মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সম্পাদক পদে বসানো হয়েছে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরও আভাস দিয়েছেন, মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ ছাড়াও জেনারেল আসনেও মহিলা দের ওপরই ভরসা রাখবে তৃণমূল। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করছেন। মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। শুধু সংরক্ষিত আসনেই নয়, অনেক সাধারণ আসনেও মহিলার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।”
তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মহিলার সশক্তিকরণের জন্য কী কী পদক্ষেপ করেছেন, সেই কথাও এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে বার বার বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। নির্বাচনে যাতে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকে, তা নিশ্চিত করার জন্য বিধানসভায় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিল পাশ করিয়েছিলেন, সেই কথাও উল্লেখ করেন তিনি। আগামী সপ্তাহে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটি ও জেলা সভানেত্রীদের নিয়ে একটি সভা করা হবে বলেও জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কোন দিন কোন সাংগঠনিক জেলায় সভা করা হবে, সেই বিষয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।