কলকাতা : আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ইউনিট প্রেসিডেন্ট হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর রবিবার বিধাননগর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। তাঁর রাজারহাটের মোহাম্মদপুরের বাড়ি থেকেই তিনি গ্রেফতার হন। তাঁকে গ্রেফতার করে টেকনো সিটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও কটূক্তি করার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল এই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতার। ওই গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে তৃণমূলের কর্মী বলে মানতে নারাজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একাংশ।
সম্প্রতি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে রীতিমতো হুজ্জুতি চালিয়েছে একদল যুবক। তাঁরা উপাচার্যকে অকথ্য় ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে জানা গিয়েছে। এমনকি উপাচার্যকে ‘চড় মারব’ বলে হুমকি দিতেও শোনা গিয়েছে। এই ভিডিয়োতে গিয়াসউদ্দিনকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে উপাচার্যকে শাসানোর অভিযোগ ওঠে। তারপর এদিন বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হল তাঁকে। তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ইউনিট প্রেসিডেন্ট হিসেবেই পরিচিত। এদিকে গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে কিছুদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। আর সম্প্রতি জানা যায়, উপাচার্য মহম্মদ আলির কাজের মেয়াদ বাড়তে চলেছে। এ কথা শুনেই উপাচার্যের ঘরে গিয়ে চড়াও হন ওই বহিষ্কৃত ছাত্র নেতা।
এদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য় সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য আগেই দাবি করেছিলেন অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন ছাত্র পরিষদের কোনও সদস্য নন। এদিন গ্রেফতারের পর তিনি টিভি৯ বাংলায় প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গিয়াসউদ্দিনকে গ্রেফতার করার জন্য। তিনি বলেছেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর অতি দ্রুততার সঙ্গে পুলিশ পদক্ষেপ করে গিয়াসউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে।” তিনি পুনরায় দাবি করেছেন যে, গ্রেফতার হওয়া যুবক তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের কেউ নন। ২০১৯ সালে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে বহিষ্কার করার পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদও তাঁকে বহিষ্কার করে। তিনি বলেছেন, “গত দু’বছর ধরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোনও কর্মসূচিতে গিয়াস ছিল না।” তবে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা গিয়াসের সঙ্গে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের আঁতাতের অভিযোগ তুলেছে। তাঁরা ‘রাঘব বোয়ালদের’ গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন।
আরও পড়ুন : WB Higher Secondary Examination: প্রশ্ন আছে, অপশন আছে- উত্তর নেই! বিতর্কে উচ্চ মাধ্যমিকের বাংলা প্রশ্নপত্র