Jadavpur University: ‘কোন টিচারের কলার ধরতে হবে বলুন’, যাদবপুরের তৃণমূল ছাত্রনেতার ‘ব্রোকেন ল্যাঙ্গুয়েজ’ ভাইরাল

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 18, 2022 | 1:50 PM

Jadavpur University: সঞ্জীব প্রামাণিকের দাবি, ওই কথা তিনি কোন পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলেন, তা আর এখন তাঁর মনে নেই।

Follow Us

কলকাতা : সম্প্রতি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে শাসকদলের ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সামনে এল আরও এক অভিযোগ। আবারও কাঠগড়ায় তৃণমূলের ছাত্রনেতা। এবার অভিযোগ উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। কোনও এক বৈঠক বা সমাবেশে তিনি বলেছেন, যে কোনও অধ্যাপকের কলার ধরার সাহস রাখেন তিনি। একটি অডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এই কথা বলতে শোনা যাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সঞ্জীব প্রামাণিককে। যদিও ওই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

কী আছে ভাইরাল অডিয়োতে?

সঞ্জীব বলছেন, ‘যাদবপুরে আমরা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে রয়েছি কেন?’ তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘যাদবপুরের কোন টিচারের কলার ধরতে হবে সঞ্জীব প্রামাণিককে বল। সঞ্জীব প্রামাণিক এত বড় ক্ষমতা রাখে। আমার হিস্ট্রি অনেকেই জানেন না, আমার অ্যাকটিভিটি অনেকেই জানে না। খুব কম লোকেই জানে।’

কেন এমন বললেন সঞ্জীব?

ভাইরাল হওয়া ওই কথোপকথন অস্বীকার করছেন না তিনি। তবে কোন পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেছিলেন, তা বুঝতে পারছেন না। TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে এমনটাই বলেছেন যাদবপুরে টিএমসিপি-র ইউনিট সভাপতি সঞ্জীব প্রামাণিক। তাঁর ব্যাখ্যা, সাধারণ মানুষ দু রকম ভাষায় কথা বলেন, ‘ব্রোকেন ল্যাঙ্গোয়েজ’ আর ‘স্পোকেন ল্যাঙ্গোয়েজ’। তাঁর কথায়, যে ভাষায় মানুষ ঘরের ভিতরে কথা বলেন, সেটাকে ব্রোকেন ল্যাঙ্গোয়েজ বলা হয়। এ ক্ষেত্রে তেমনভাবেই কথা বলছিলেন বলে দাবি সঞ্জীবের।

তাঁর পাল্টা অভিযোগ, যাদবপুরে বামপন্থী অধ্যাপকরা তাঁদের হেনস্থা করেন। তৃণমূল করেন বলে তাঁদের অনেক ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয় বলেও দাবি এই ছাত্রনেতার। তিনি বলেন, ‘আমার পিএইচডি আটকে দেওয়া হবে। সিনিয়রকে ফোন করে বলা হয়েছে। কোন অধ্যাপক বলেছে সেটাও জানি। তৃণমূল করি বলে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে যাদবপুরে।’ তবে একজন অধ্যাপকের কলার ধরার হুমকি কতটা যুক্তিসঙ্গত? প্রশ্ন উঠেছে সেখানেই। আর তার উত্তরে সঞ্জীব বলছেন, তিনি এই বিষয়টা কখনই সমর্থন করেন না, কিন্তু কেন এ কথা বলেছিলেন, তা তাঁর কাছে খুব একটা স্পষ্ট নয়।

কী বলছেন অধ্যাপকেরা?

শিক্ষক সংগঠনের নেতা পার্থ প্রতিম রায় বলেন, ‘যাদবপুরে এমন ঘটনা আগে কখনও দেখিনি। আমরা বিশ্বাস করি, সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এর সঙ্গে যুক্ত নয়।’ এর পিছনে রাজনীতির হাত আছে বলেও মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, এই সরকারে মানসিকতা খুব খারাপ। কঠোর হলে হয়ত এই ঘটনাগুলো ঘটত না।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে আলিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন মহম্মদ আলির ঘরে প্রবেশ করে হুমকি দেন ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই গ্রেফতার করা হয় গিয়াসউদ্দিনকে। আর এবার ফের একই ঘটনায় শাসক শিবিরের অস্বস্তি আরও বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন : Woman Harassment: বন্ধ ঘরের ‘নরকে’ অকথ্য যৌন নির্যাতন, একরত্তির হাত-পা বেঁধে ইলেকট্রিক শক, ভিডিয়ো নিয়ে থানায় হাজির মহিলা

কলকাতা : সম্প্রতি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে শাসকদলের ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সামনে এল আরও এক অভিযোগ। আবারও কাঠগড়ায় তৃণমূলের ছাত্রনেতা। এবার অভিযোগ উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। কোনও এক বৈঠক বা সমাবেশে তিনি বলেছেন, যে কোনও অধ্যাপকের কলার ধরার সাহস রাখেন তিনি। একটি অডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এই কথা বলতে শোনা যাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সঞ্জীব প্রামাণিককে। যদিও ওই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

কী আছে ভাইরাল অডিয়োতে?

সঞ্জীব বলছেন, ‘যাদবপুরে আমরা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে রয়েছি কেন?’ তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘যাদবপুরের কোন টিচারের কলার ধরতে হবে সঞ্জীব প্রামাণিককে বল। সঞ্জীব প্রামাণিক এত বড় ক্ষমতা রাখে। আমার হিস্ট্রি অনেকেই জানেন না, আমার অ্যাকটিভিটি অনেকেই জানে না। খুব কম লোকেই জানে।’

কেন এমন বললেন সঞ্জীব?

ভাইরাল হওয়া ওই কথোপকথন অস্বীকার করছেন না তিনি। তবে কোন পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেছিলেন, তা বুঝতে পারছেন না। TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে এমনটাই বলেছেন যাদবপুরে টিএমসিপি-র ইউনিট সভাপতি সঞ্জীব প্রামাণিক। তাঁর ব্যাখ্যা, সাধারণ মানুষ দু রকম ভাষায় কথা বলেন, ‘ব্রোকেন ল্যাঙ্গোয়েজ’ আর ‘স্পোকেন ল্যাঙ্গোয়েজ’। তাঁর কথায়, যে ভাষায় মানুষ ঘরের ভিতরে কথা বলেন, সেটাকে ব্রোকেন ল্যাঙ্গোয়েজ বলা হয়। এ ক্ষেত্রে তেমনভাবেই কথা বলছিলেন বলে দাবি সঞ্জীবের।

তাঁর পাল্টা অভিযোগ, যাদবপুরে বামপন্থী অধ্যাপকরা তাঁদের হেনস্থা করেন। তৃণমূল করেন বলে তাঁদের অনেক ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয় বলেও দাবি এই ছাত্রনেতার। তিনি বলেন, ‘আমার পিএইচডি আটকে দেওয়া হবে। সিনিয়রকে ফোন করে বলা হয়েছে। কোন অধ্যাপক বলেছে সেটাও জানি। তৃণমূল করি বলে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে যাদবপুরে।’ তবে একজন অধ্যাপকের কলার ধরার হুমকি কতটা যুক্তিসঙ্গত? প্রশ্ন উঠেছে সেখানেই। আর তার উত্তরে সঞ্জীব বলছেন, তিনি এই বিষয়টা কখনই সমর্থন করেন না, কিন্তু কেন এ কথা বলেছিলেন, তা তাঁর কাছে খুব একটা স্পষ্ট নয়।

কী বলছেন অধ্যাপকেরা?

শিক্ষক সংগঠনের নেতা পার্থ প্রতিম রায় বলেন, ‘যাদবপুরে এমন ঘটনা আগে কখনও দেখিনি। আমরা বিশ্বাস করি, সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এর সঙ্গে যুক্ত নয়।’ এর পিছনে রাজনীতির হাত আছে বলেও মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, এই সরকারে মানসিকতা খুব খারাপ। কঠোর হলে হয়ত এই ঘটনাগুলো ঘটত না।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে আলিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন মহম্মদ আলির ঘরে প্রবেশ করে হুমকি দেন ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই গ্রেফতার করা হয় গিয়াসউদ্দিনকে। আর এবার ফের একই ঘটনায় শাসক শিবিরের অস্বস্তি আরও বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন : Woman Harassment: বন্ধ ঘরের ‘নরকে’ অকথ্য যৌন নির্যাতন, একরত্তির হাত-পা বেঁধে ইলেকট্রিক শক, ভিডিয়ো নিয়ে থানায় হাজির মহিলা

Next Video