Woman Harassment: বন্ধ ঘরের ‘নরকে’ অকথ্য যৌন নির্যাতন, একরত্তির হাত-পা বেঁধে ইলেকট্রিক শক, ভিডিয়ো নিয়ে থানায় হাজির মহিলা

Woman Harassment: প্রথম বিয়ের পর বিচ্ছেদ হয়ে যায় মহিলার। দ্বিতীয়বার সংসার বাঁধার আশায় ওয়েবসাইটের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।

Woman Harassment: বন্ধ ঘরের 'নরকে' অকথ্য যৌন নির্যাতন, একরত্তির হাত-পা বেঁধে ইলেকট্রিক শক, ভিডিয়ো নিয়ে থানায় হাজির মহিলা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 18, 2022 | 11:54 AM

বিহার : ভেবেছিলেন দ্বিতীয়বার মনের মানুষকে খুঁজে পাবেন। তাই ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেখানে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। জমে ওঠে প্রেম। ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু সেই সম্পর্কের পরিনতি যে এমনটা হবে তা কল্পনাও করেননি ওই মহিলা। ভালবাসা খুঁজতে গিয়ে কার্যত চরম নিষ্ঠুরতার শিকার হতে হয়েছে ওই মহিলাকে। অসমের বাসিন্দা ওই মহিলা বিহারে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে। আর সেখানে এ সব হয় বলে অভিযোগে জানিয়েছেন তিনি। বিবাহ বিচ্ছিন্না ওই মহিলার এক চার বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। তাকে সঙ্গে নিয়েই মনের মানুষের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। আর সেখানে দু মাস ধরে অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। মহিলা জানিয়েছেন, একটি ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল তাঁকে ও তাঁর সন্তানকে। সেখানেই চলে যৌন নির্যাতন। অস্বাভাবিক যৌনতার শিকার হন ওই মহিলা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ২৭ বছর বয়সী ওই মহিলা দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। আর সেই আশাতেই ম্যাট্রিমোনিয়াল ওয়েবসাইটে একটি প্রোফাইল খোলেন তিনি। ২৭ বছরের ওই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় প্রিন্স রাজ আর্য নামে এক ব্যক্তির। প্রিন্স রাজের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে আগেই। তিনি বিহারের ত্রিবেনিগঞ্জের বাসিন্দা। ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই তাঁদের আলাপ হয়। মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন প্রিন্স রাজ। বিয়ে করতেই বিহারে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে মহিলাকে সিঁদুরও পরান তিনি। আর তারপরই শুরু হয় সেই নৃশংস অত্যাচার।

মহিলা জানিয়েছেন ঘরে আটকে রেখে তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর মেয়েকেও অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, যৌন হেনস্থার সে সব দৃশ্য ক্য়ামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন ওই ব্যক্তি। হুমকি দিয়ে মহিলার কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন ওই ব্যক্তি। যে অভিযোগের কথা সামনে এসেছে, তা কার্যত শিউরে ওঠার মতো। মহিলা জানিয়েছেন ওই শিশুর হাত-পা বেঁধে তাকে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হত। কোনও ক্রমে পালিয়ে বেঁচেছেন ওই মহিলা। সন্তানকে নিয়ে বেরতে পেরেই থানায় হাজির হন ওই মহিলা। যে মোবাইলে ওই ভিডিয়ো রেকর্ড করা হত, সেটাও থানায় জমা দেন ওই মহিলা। প্রমাণ পেয়ে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন : MP Curfew Wedding: ভালবাসা মানে না বিধিনিষেধ! প্রেমিকাকে বিয়ে করতে কার্ফুর মাঝেই যা করলেন যুবক…