MP Curfew Wedding: ভালবাসা মানে না বিধিনিষেধ! প্রেমিকাকে বিয়ে করতে কার্ফুর মাঝেই যা করলেন যুবক…
MP Curfew Wedding: স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধেই গত সপ্তাহের শেষে প্রশাসনের তরফে কার্ফুর নিয়ম সামান্য শিথিল করা হয়। প্রতিদিন চার ঘণ্টা ছাড় দেওয়া হয়। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েই আমান ও তার পরিবার বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য রওনা দেন।
ভোপাল: রামনবমীর অনুষ্ঠান ঘিরেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল গোটা এলাকায়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহতও হয়েছিলেন কমপক্ষে ২৪ জন। এই ঘটনার পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্ফু (Curfew) জারি করা হয়েছিল গোটা শহরে। কিন্তু ভালবাসা কি আর কার্ফু মানে? দীর্ঘ টালবাহানার পর প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল, তাই তা কোনওমতেই ভেঙে দেওয়া চলবে না। সেই কারণেই কার্ফু শিথিল হতেই পায়ে হেঁটেই পাত্রীর বাড়ির দিকে রওনা দিলেন হবু বর। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের (Madhya Pradesh) খারগোনে। সেখানে রামনবমীর শোভাযাত্রায় ইটবৃষ্টির জেরে সংঘর্ষ বাধায় কার্ফু জারি করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে।
হঠাৎ কার্ফুর সিদ্ধান্তে চরম সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দোকানপাট বন্ধ থাকায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনাকাটির ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে এর থেকেও বেশি বিপাকে পড়েছেন যাদের বিয়ে রয়েছে। দাবি, অনেকেই বিয়ে ভেঙে দিচ্ছেন বা পিছিয়ে দিচ্ছেন কার্ফুর জন্য। তবে ব্যতিক্রমী পথেই হেঁটেছেন আমান নামক এক যুবক। খারগোনের সন্ত নগর বস্তি এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক কার্ফু শিথিল হতেই পায়ে হেঁটেই রওনা দেন বিয়ে করতে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধেই গত সপ্তাহের শেষে প্রশাসনের তরফে কার্ফুর নিয়ম সামান্য শিথিল করা হয়। প্রতিদিন চার ঘণ্টা ছাড় দেওয়া হয়। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েই আমান ও তার পরিবার বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য রওনা দেন। সকাল আটটায় কার্ফুর নিয়ম শিথিল হতেই, তারা পায়ে হেঁটেই রওনা দেন। যেহেতু ঘোড়ায় চড়ে বা বাজনা বাজানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেই কারণে তাঁরা চুপচাপই প্রায় তিন কিলোমিটার হেঁটে আসেন। যেহেতু পাত্রের বাড়ি থেকে পাত্রীর বাড়ির দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার, তাই শহরের বাইরে আসার পর তারা বাকি পথ গাড়িতে যান। ওই যুবক জানিয়েছেন, বিয়ে করে ফেরার সময়ও তিনি একই পন্থা অনুসরণ করবেন।
গত রবিবার মধ্য প্রদেশের খারগোনেতে রামনবমীর শোভাযাত্রায় ইটবৃষ্টিকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়ায়। একাধিক দোকান ও গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৪ জন আহত হন। এখনও অবধি প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে।