Aliah University: উপাচার্যের ঘরে ঢুকে ‘চড় মারব’ বলে হুমকি টিএমসিপি নেতার, ডেকেও পাওয়া গেল না পুলিশকে

Aliah University: পুলিশকে ফোন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। কিন্তু কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি।

Aliah University: উপাচার্যের ঘরে ঢুকে 'চড় মারব' বলে হুমকি টিএমসিপি নেতার, ডেকেও পাওয়া গেল না পুলিশকে
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হেনস্থার অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 03, 2022 | 2:10 PM

কলকাতা : উপাচার্যকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনা এ রাজ্যে নতুন নয়। কখনও যাদবপুর, কখনও বিশ্বভারতীতে দেখা গিয়েছে এমন ছবি। তবে, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছবি দেখা গেল, তা কার্যত নজিরবিহীন। উপাচার্যের ঘরে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন একদল যুবক। ন্যূনতম সম্মান না দিয়ে অকথ্য ভাষায় কথা বলছেন তাঁরা। ‘চড় মারব’ বলে হুমকিও দিচ্ছেন। আর সেই ঘটনার যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে যে যুবককে দেখা যাচ্ছে তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ইউনিট প্রেসিডেন্ট হিসেবেই পরিচিত।

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছবি এ রাজ্যের শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। উপাচার্য মহম্মদ আলির ঘরে ঢুকে কার্যত তাঁকে শাসানো হয়েছে বলে অভিযোগ। গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল নামে ওই যুবক, যিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা হিসেবে পরিচিত, তাঁকে কিছুদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। আর সম্প্রতি জানা যায়, উপাচার্য মহম্মদ আলির কাজের মেয়াদ বাড়তে চলেছে। এ কথা শুনেই উপাচার্যের ঘরে গিয়ে চড়াও হন ওই বহিষ্কৃত ছাত্র নেতা।

উপাচার্য মহম্মদ আলি জানিয়েছেন, সাহায্য চেয়ে পুলিশকে ফোন করেছিলেন তিনি। কিন্তু কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। কোনও নিরাপত্তাও দেওয়া হয়নি। একজন উপাচার্য এ ভাবে অভিযোগ জানানোর পরও কেন প্রশাসন নিরুত্তাপ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কোনও আপত্তিকর ঘটনাকে তৃণমূল সমর্থন করে না।’ ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। কিন্তু ওই গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে তৃণমূলের কর্মী বলে মানতে নারাজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, বহিরাগত কিছু লোকজন এই কাজ করেছে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কেই নন বলেও মন্তব্য করেছেন তৃণাঙ্কুর। আদতে প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র নেতা কবিরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন গিয়াস। পরে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে কবিরুল বিজেপিতে যোগ দেন। তবে, গিয়াস তৃণমূলের কর্মী হিসেবেই এখনও পরিচিত।

এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে শিক্ষা মহলে। অধ্যাপক পার্থ প্রতিম রায় বলেন, ‘এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটাই এখন বাংলার সংস্কৃতি।’ এ সবের পিছনে শাসক দলের মদত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন : Jhalda Councillor Murder: ভাইকে খুন করতে ভাড়াটে খুনি লাগিয়েছিল দাদাই, কাউন্সিলর খুনে গ্রেফতার আরও দুই