কলকাতা: ২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। শিক্ষা, শিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতর সামলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, কখনও মহাসচিব কিংবা শৃঙ্খলা-রক্ষা কমিটির প্রধান পদে থেকে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। রাজ্যের অন্যতম প্রভাবশালী সেই রাজনীতিক বর্তমানে ইডি হেফাজতে। তৃণমূল বলছে, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য নয়। কিন্তু, দলের মুখপত্র জাগো বাংলার প্রতিবেদনে পার্থ-র নামের পাশ থেকে কেন ‘মন্ত্রী’ শব্দটা উঠে গেল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
বিরোধীদের একটা বড় অংশ বারবার দাবি করছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হোক। শাসক দলের তরফে তেমন কোনও বার্তা শোনা না গেলেও মুখপত্রের এই পরিবর্তনে নয়া জল্পনা তৈরি হচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বুধবার প্রকাশিত জাগো বাংলার প্রথম পাতাতেই একটি প্রতিবেদনের শিরোনামে লেখা, ‘পার্থকে আমি ছাড়ব, কেন বলেছিলেন সেদিন ধনখড়?’ শুধু এ দিন নয়, গত সোমবার প্রকাশিত আরও একটি প্রতিবেদনে লেখা ‘পার্থ দু’দিন ইডিতে, আদালত পাঠাল এসএসকেএমে’। দুই ক্ষেত্রেই পার্থ-র নামের পাশে নেই মন্ত্রী শব্দটি। অথচ ওই মুখপত্রে প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি ছবির ক্যাপশনে অরূপ রায়ের নামের পাশে লেখা ‘মন্ত্রী’। একাধিক প্রতিবেদনে ‘মন্ত্রী’ শব্দ ব্যবহার না করার বিষয়টি কি নিছকই ভুলবশত? নাকি এর কোনও বিশেয তাৎপর্য রয়েছে? প্রশ্ন সেখানেই।
বর্তমানে শিল্প দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন পার্থ। রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রীও তিনি। সূত্রের খবর, তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর সেই দফতরের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে শাসক দলেও যে আলোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার রয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে এই দফতরের দায়িত্ব বদল নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, মন্ত্রিত্ব দেওয়ার জন্য কোনও মন্ত্রিসভার বৈঠকের প্রয়োজন পড়ে না ঠিকই। তবে, এ ক্ষেত্রে বিষয়টাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ব্যবহার করা গাড়ি বিধানসভায় রেখে এসেছেন তাঁর গাড়ির চালক। পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে ওই গাড়ি ব্যবহার করতেন তিনি। তারপরই পার্থ-র মন্ত্রিত্ব নিয়ে জল্পনা বেড়েছে আরও।