কলকাতা: কথায় আছে রথের রশিতে টান মানেই দুর্গাপুজোর দিন গোনা শুরু। মাঝে আর দু’টো মাস বাকি। ৭৬ দিন মতো। এরপরই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। অক্টোবরের ৯ তারিখ এরকমই এক মঙ্গলবারে দেবীর বোধন, মহাষষ্ঠী। পুজোর প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করে দিয়েছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। এই আবহে আজ পুজোর কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিকাল ৪টে থেকে এই বৈঠক হবে। বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনকে নিয়ে এই বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে থাকবে কলকাতা পুলিশও।
এবারের পুজোয় ক্লাবগুলিকে দেওয়া অনুদানের টাকা একই থাকবে নাকি তা বাড়ানো হবে, সেদিকে তাকিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন পুজো কমিটি। গত বছর ১০ হাজার করে টাকা বাড়িয়ে দুর্গাপুজোর জন্য ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর প্রায় ৪৩ হাজারের মতো পুজো কমিটি এই টাকা পেয়েছিল।
প্রত্যেক বছরই রাজ্যের বিভিন্ন পুজো কমিটিকে আর্থিক সাহায্য করে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার। পুজো কমিটি পিছু ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে যা শুরু হয়েছিল, কোভিডের সময় তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে প্রথমে ৬০ হাজার টাকা এবং গতবার আরও ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা করা হয়েছিল।
মমতার এই ‘শারদীয়’ অনুদান নিয়ে বিরোধীরা বরাবরই কটাক্ষ করেছে। প্রশ্ন তুলেছে, কেন পুজো কমিটিকে অনুদান দিতে হবে? যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলেছেন, সকলে যাতে ভালভাবে পুজো করতে পারেন তাই সরকার পাশে দাঁড়ায়। গতবার শুধু পুজোর অনুদানই বাড়াননি, বিদ্যুতের বিলের ক্ষেত্রেও বড় ছাড় ঘোষণা করেছিলেন। সিইএসসি ও রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম গতবার পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুতের বিলের এক চতুর্থাংশ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। এবার পুজো কমিটিগুলির জন্য কী ‘উপহার’ থাকে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।