
কলকাতা: বেহালার (Behala) একরত্তির অকাল মৃত্যু। মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। চাপে পড়ে লালবাজারের নির্দেশে রাস্তায় রাতারাতি বদলে গিয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশের (Traffic Police) গতিবিধি। এটা তো কলকাতার ছবি। কিন্তু, রাজ্যের বাকি জেলায় কী হাল? সেখানে কতটা নিরাপদে রয়েছে খুদের দল। খোঁজ নিল টিভি-৯ বাংলা।
বারাসতের ব্যস্ততম টাকি রোডের উপরেই রয়েছে পূর্ব বারসত আদর্শ বিদ্যাপীঠ। পথচলতি মানুষ থেকে স্কুল পড়ুয়াদের পাশ দিয়ে ছুটছে বাস, লড়ি। এই স্কুলে রয়েছে প্রায় ২ হাজারের বেশি পড়ুয়া। কিন্তু, রাস্তার ধারে স্কুল থাকায় সর্বদাই পড়ুয়াদের নিয়ে চিন্তায় থাকেন অভিভাবকেরা। ভয়ে রয়েছে পড়ুয়ারাও। স্কুলের ছাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলছে, যেভাবে দ্রুতগতিতে গাড়িগুলো এখান দিয়ে যায় তাতে ভয় লাগে খুব। হাত দেখালেও অনেক সময় থামতে চায় না। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, স্কুলের সামনে স্পিড ব্রেকার দেওয়ার আবেদন করেও কোনও লাভ হয়নি। প্রধান শিক্ষক সমীর আচার্য বলছেন, অনেকবার স্পিড ব্রেকারের আবেদন করেছি। কিন্তু, প্রশাসনের তরফে এখনও বসানো হয়নি।
একই ছবি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতেও। পূর্বস্থলীতে রাজ্য সড়কের উপর রয়েছে বিশ্বরম্ভা বিদ্যাপীঠ ও বিশ্বরম্ভা নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়। রাস্তা পেরিয়েই স্কুলে যেতে হয় পড়ুয়াদের। কিন্তু, রাস্তায় দেখা নেই কোনও ট্র্যাফিক পুলিশের। স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বনাথ প্রামানিক বলছেন, মাঝে সিভিক ভলান্টিয়ার থাকে। তবে পুলিশের দেখা পাওয়া যায় না। হুগলির গোঘাটেও একই ছবি। রাস্তার পাশেই রয়েছে ভগবতীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে থানা। অথচ এখানে আবার রাস্তা আটকে চলছে বেআইনি পার্কিং। বছর আটেক আগে এখানে রাস্তা পার হতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক স্কুল ছাত্রীর। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বেআইনি পার্কিংয়ের কারণে সংকীর্ণ হচ্ছে রাস্তার জায়গা। সে কারণে সমস্যা হচ্ছে যাতায়াতে। একই ছবি দেখা গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায়। ডেবরার হরিমতি সারস্বত বিদ্যামন্দিরও রয়েছে একেবারে হাইওয়ের পাশাপাশি। এখানেই দেখা মিলছে না ট্র্যাফিক পুলিশের। বেহালর নির্মম ঘটনা দেখেও তবে কী হুঁশ ফিরছে না প্রশাসনের? এই প্রশ্নই এখন উঠছে নাগরিক মহলে।